আমার লেখার উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরবো আপনাদের মাঝে যাতে আপনারা চিন্তা করতে পারেন। আমি সঠিক কাজ করছি নাকি বেঠিক কাজ করছি।
প্রথমত আমি লেখা শুরু করেছি কোন দল দরবার বা ব্যক্তিগত ভাবে আহবান করার জন্য নয়। এমনকি আজতক কোন আহবান করি নাই। আল্লা এবং রাছুল সা. এর পক্ষে যেটা সঠিক মনে হয়েছে সেটাই তুলে ধরেছি যতটুকু সম্ভব।
তরিকতের পথে আমার মুরশিদ যখন প্রচারের জন্য আযাদ করেছেন তার আগ পর্যন্ত ফেসবুকে ধর্ম বিষয়ে একটি অক্ষরও লিখি নাই। এখনও যা লিখি তা আমার মনগড়া কিছু নয়। আমি যা বলি তা অনেকে হয়তো আগে শুনেন নাই। ধর্ম বিষয়ে বিকেকহীন যারা নিজের বিবেক ব্যবহারে অপারগ তারা গৌড়ামী করে তারা আমাকে বেদাতী বলে। তাতে আমি অসন্তুষ্ট নই। কারণ আমার কথা বিশ্বাস না করে যদি সত্য তালাশ করে নিজেরাই বেদাতীদের অন্তর্গত সেটা বুঝতে পারবে অন্তত্য শিক্ষিতগন।
কেউ কেউ বলে আমি গীবত করছি। সত্য বলতে কি গীবত কাকে বলে তারা তা বুঝেই না। কারণ, গীবত শব্দটি ব্যক্তি বিশেষের বেলায় প্রযোজ্য। কেন বলবো? কেউ আমার ক্ষতি করে নাই। তবে যারা নিজেদের স্বার্থে আল্লা এবং রাছুল সা. এবং আহলে বায়াতকে ছোট করছে। তাঁদের বিপক্ষে কথা বলছে কাজ করছে এমনকি আম মানুষদের বিপথের দিকে নিয়ে যাচ্ছে আমার লেখা তাদের পক্ষে যাওয়ার সুযোগ নাই। তাদের বিপক্ষে না বললে সেটা যে আল্লা, রাছুল সা. এবং আহলে বায়াতগনের পক্ষে থাকতে পারি না। আমি যে ভীতু দলে বড় তাদের চেয়ে আল্লা ভয়টা আমার বেশী।
পবিত্র কোরান শরীফে আল্লা বলেছেন ৪:১৪৮# “আল্লাহ কোন মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। আল্লাহ শ্রবণকারী, বিজ্ঞ।”
আয়াতটির প্রথম অংশে বলা হচ্ছে আল্লা মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। আমি এটার বিপক্ষে নই। পরের অংশে বলেছেন কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। অর্থাৎ কারো প্রতি জুলুম হলে সেটা বলা নিষেধ নাই। তবুও সমাজের অনেক বিপথগামী লোক যারা হাজারো লাখো মানুষকে বিপথে নিচ্ছে তাদের নাম উল্লেখ করেই লিখতে পারি তবুও লিখছি না। আমি লিখছি তাদের আল্লা এবং রাছুল সা. বিরোধী কর্মের কথা। তুলে ধরতে চেষ্টা করছি সত্য এবং অসত্য। শিক্ষিত মানুষ যেনো দুটি বিষয় এক সাথে দেখে নিজের বিবেক কাজে লাগিয়ে সঠিকটা নির্বাচন করতে পারে। সাধারন মানুষদের বিপথে যারা নিচ্ছে সেটাকে আমি জুলুম মনে করি। আল্লা, রাছুল সা. এবং আহলে বায়াতগনকে ছোট করা আমি মহা জুলুম মনে করি। এই জন্যই সে সব লোকদের থেকে নিজেকে আলাদা করে রাখি। করতেই হয় প্রকৃত উয়ায়ছীদের মুল মন্ত্রটাই হচ্ছে “একেলা থাকিতে যদি হয় দুনিয়াতে, তবুও না ছাড়িবো ফেল কোরানের মতে।” অর্থাৎ- দুনিয়াতে যদি একাও থাকতে হয় থাকবো, তবুও কোরানের সাথ ছাড়বো না।
চোরে চোরে মাশতুত ভাই হয়ে আমি চলতে রাজি নই। আমার কাছে কাউকে আসতে হবে না এমনকি কাউকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য লিখি না। লিখি সত্য তালাশকারীদের জন্য। এই যাবৎ আল্লা আমাকে যতটুকু প্রচার করার তৌফিক দিয়েছেন তাতেই আমি সন্তুষ্ট আছি। আদম খলিফা (প্রতিনিধিত্ত্ব) হওয়ার দ্বায়িত্ত্ব পালনের চেষ্টা আমি যথেষ্টই করেছি। আজ আমি না থাকলেও আমার এই লেখাগুলি পড়ে যারা সত্য তালাশ করে নিবে তাতেই আমি আল্লার দরবারে কৃতজ্ঞ থাকবো। আল্লার হুকুম মানতে চেষ্টা করেই যাবো যতদিন জীবিৎ থাকবো।
২:৪২# “তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্ত্বে সত্যকে তোমরা গোপন করো না।”
৯:১৯৯# “হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক।”
———ফকির উয়ায়ছী
বি.দ্র: সত্যের অনুসারীরা পোষ্ট ভাল লাগলে এড হয়ে সাথে থাকবেন। সত্য বিরাধী অনেক গ্রুপ থেকে লেখা বন্ধ করে দিয়েছে।