আজঃ বুধবার | ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
Home / দরবার / যাকাত / বুদ্ধি প্রতিবন্ধিরা ৫:৫৫ আয়াতটির ভুল ব্যাখ্যা করেন

বুদ্ধি প্রতিবন্ধিরা ৫:৫৫ আয়াতটির ভুল ব্যাখ্যা করেন

Capফকির উয়ায়ছী:

আল্লা কোরআনের আয়াতগুলি কারো ব্যক্তিগত ভাবে নাজিল করেছেন বলে কেউ যদি মনে করেন সেটা মোটেই উচিৎ হবে না। বিশেষ করে যদি কারো ব্যক্তিগত ভাবে বলতেন তবে আল্লা অবশ্যই নাম উল্লেখ করেই বলতেন। যেহেতু এই কোরআনের প্রতিটি বাণী কিয়ামত পর্যন্ত বহাল থাকবে সেহেতু কোরআনের প্রতিটি আয়াতই প্রত্যেক মুসলমানদের মেনেই চলতে হবে। মানতে না পারলেও অন্তত্য চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ মুসলমান অনুসারীরাই জানেন রাছুল সা. যা যা করেছেন তার বাইরে অন্য কিছুই নাই কোরআনে। নিম্নে একটা আয়াত উল্লেখ করবো আপনাদের চিন্তা করার জন্য। একটি কওমের কিছু বুদ্ধি প্রতিবন্ধি আছে তারা বলে একটি আয়াতের কথা যে এই আয়াতটি শুধু একজনই পালন করেছেন আর তিঁনি হচ্ছেন মওলা আলী।

৫:৫৫# “তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ তাঁর রসূল এবং মুমিনবৃন্দ-যারা নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং বিনম্র।”

উক্ত আয়াতটির ব্যপারে শিয়া মাজহাবের কিছু বুদ্ধি প্রতিবন্ধি আছে তারা বলে নামাজ অবস্থায় যাকাত দিয়েছেন একমাত্র মওলা আলী। এখানে প্রশ্ন দারায় নবীজিকি এই আয়াত পালন করেন নাই। কারণ ইসলামে ইতিহাস পড়ে পাওয়া যায় না রাছুল সা. কোনদিন যাকাত দিয়েছেন এমনকি তিঁনার সে পরিমান সম্পদ ছিলো বলে কোথাও দেখা যায় না। তবে কি এই আয়াত নবীর ছাড়া অন্য কারো উপর নাজিল হয়েছিল? ইতিহাস পড়লে জানা যায় মওলা আলী তীরবিদ্ধ হয়েছিল রাছুল সা. এর পরামর্শে নামায আদায়ের সময় তীর বের করা হলে মওলা আলী অনুভব করতে পারেন নাই। কিন্তু শিয়া মাযহাবের নির্বোধদেরা প্রচার করেন মওলা আলী নামায আদায়ের সময় এক ভিক্ষুক এসে দাড়ালে মওলা আলী হাতের আংটি খুলে দিয়ে দেন। এই তথ্য প্রচারে যে মওলা আলী বেখেয়ালী নামায আদায়কারী হিসাবে প্রমানীত হয় এই ব্যপারে নির্বোদের দল চিন্তাই করেন না।

আর সবচেয়ে বিবেচনার কথা হচ্ছে আয়াতটিতে আল্লা রাছুল এবং মু’মিনদের কথা বলেছেন এমনকি যারা নামায কায়েমকারী তাদের প্রত্যেকের জন্যই এই আয়াতটি পালন করার হুকুম। যারা মওলা আলী আ. গোলামদের দারস্থ হয় তারাই এই যাকাতে মর্ম বুঝতে পারবে। নামের শিয়ারা এই যাকাতের কথা বুঝবে না। তার বড় কারণ হচ্ছে এই যাকাতের সাথে অর্থের কোন সম্পর্ক নাই। যাকাতের সঠিক অর্থ হচ্ছে পবিত্রতা। সেটা নিম্ননোক্তআয়াতটি প্রমান করে।

৫৮:১৩# “তোমরা কি কানকথা বলার পূর্বে সদকা প্রদান করতে ভীত হয়ে গেলে? অতঃপর তোমরা যখন সদকা দিতে পারলে না এবং আল্লাহ তোমাদেরকে মাফ করে দিলেন তখন তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য কর। আল্লাহ খবর রাখেন তোমরা যা কর।”

চিন্তা করে দেখার অনুরোধ সদকা (সামান্য) দিতে পারলে না তবে যাকাত প্রদান করতে বলেছেন আল্লা। যাকাত যদি অর্থই হতো তবে আল্লা কেন বলবেন সামান্য পয়সা সদকা প্রদানে অসমর্থ ব্যক্তিদের যাকাত দিতে?

About Fokir Owaisi

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *