ফকির উয়ায়ছী:
১৭:৭১# “স্মরণ কর, যেদিন আমি প্রত্যেককে তাদের নেতাসহ আহবান করব, অতঃপর যাদেরকে তাদের ডান হাতে আমলনামা দেয়া হবে, তারা নিজেদের আমলনামা পাঠ করবে এবং তাদের প্রতি সামান্য পরিমাণও জুলুম হবে না “
উপরোক্ত আয়াতটিতে আল্লা ইহকালের নেতা সহই ডাকবেন বলে বুঝা যায়। তবে নেতার কোন বক্তব্য থাকবে না পরম প্রভুর সামনে। আল্লা কোরআনে বলেছেন রাছুল সা. তোমাদের সাক্ষ্যদাতা।
আমরা সুন্নিদের মধ্যে আহলে বায়াতের অনুসারীরা ব্যতীত অধিকাংশরাই বলতে শুনা যায় নেতা রাছুল সা.। আমিও সেটা মানি রাছুল সা. বিশ্ব নবি সমস্ত সৃষ্টি করেই নেতা। শুধু মুসলমানদের জন্য নয়। তবে সেটা হাশরের ময়দানে আর রাছুল সা. জীবদ্দশায় সামনে থেকে যাদের পরিচালনা করেছেন। তাদের জন্যই ইহকালের (দুনিয়ার) নেতা ছিলেন রাছুল সা.।
শিয়াদের মধ্যে (গায়েব) অনুপস্থিত নেতা ঈমাম মাহদীকে মনে করেন। ইমাম মাহদীি একজন নেতা এটা মুসলমানদের নেতা হবেন তাতে অবিশ্বাস করার সুযোগ নেই। ইমাম মাহদীর যখন আসবেন তিনাকে যারা সামনে থেকে দেখতে পাবেন। তিনার হুকুম আদেশ, নিষেধ মেনে চলবেন ইমাম মাহদী তাদেরই নেতা হবেন।
শিয়ারা ওলি আউলিয়া মানে না এমনকি কিছু সুন্নিরা ওলি আউলিয়া মানে না তারা ভিন্ন মতের অনুসারী হলেও একই গোত্র।
হাদিস শরীফে পাওয়া যায় এমন;
“যুগের ইমামের হাতে বায়াত না হয়ে গেলে জাহেলী হালাতে মৃত্যু হবে”।
এযুগের মানুষ যারা আছেন তারা যদি উপস্থিত নেতার উপর বিশ্বাস রেখে তারই অপেক্ষায় মৃত্যু বরণ করে তারাও জাহেলী হালেই যাবেন। একটি কথা উল্লেখ সে যদি অনুপস্থিত (গায়েব) নেতার উপরই বিশ্বাস রেখে মৃত্যু বরণ করতে হয় তবে কেন মওলা আলী বা রাছুল সা. উপর বিশ্বাস রাখাই তো উত্তম।
নেতা তিনিই হবেন। নেতা (উলিল আমর) মনোনয়ন এর বিষয়ে আল্লা কোরআনে বলেছেন নেতা হবে তোমাদের মধ্যকার। যিনি মানুষদের আদেশ, নিষেধ, উপদেশ দিয়ে সামনে থেকে পরিচালিত করবেন। তার সাথে মতভেদ হলে আল্লা এবং রাছুল সা. এর দিকে প্রত্যর্পণ করতে আল্লা হুকুম করেছেন। যেহেতু আল্লা এবং রাছুল সা. এর দিকে ফেরৎ যেতে বলেছেন সেহেতু রাছুল সা.কে এ যুগের নেতা মানলে আবার কোন রাছুলের দিকে ফেরৎ যাবো। নিন্মে আয়াতটা দেওয়া হলো পড়ে চিন্তা করার অনুরোধ রইল।
৪:৫৯#“হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।”