৬৬:৪# “তোমাদের অন্তর অন্যায়ের দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে যদি তোমরা উভয়ে তওবা কর, তবে ভাল কথা। আর যদি নবীর বিরুদ্ধে একে অপরকে সাহায্য কর, তবে জেনে রেখ আল্লাহ জিবরাঈল এবং সৎকর্মপরায়ণ মুমিনগণ তাঁর সহায়। উপরন্তুত ফেরেশতাগণও তাঁর সাহায্যকারী।”
৬৬:৫# “যদি নবী তোমাদের সকলকে পরিত্যাগ করেন, তবে সম্ভবতঃ তাঁর পালনকর্তা তাঁকে পরিবর্তে দিবেন তোমাদের চাইতে উত্তম স্ত্রী, যারা হবে আজ্ঞাবহ, ঈমানদার, নামাযী তওবাকারিণী, এবাদতকারিণী, রোযাদার, অকুমারী ও কুমারী।
উপরোক্ত আয়াতে রাছুল সা.এর দুইজন স্ত্রীর কথা বলা হয়েছে। এমনকি এই আয়াতের পর রাছুল সা. তিঁনার সমস্ত স্ত্রীদের পরিত্যাগ করে ২৯ দিন গৃহ ত্যাগ করে ছিলেন। কোন দুইজন স্ত্রীর দোষের কারণে রাছুল গৃহ ত্যাগ করেছিরেন নিন্মোক্ত হাদিসে তার প্রমান পাওয়া যায়।
তিরমিজি শরীফ-হাদিস নং- ৩২৫৬ টিতে উল্লেখ আছে আমি উল্লেখ করছি।
হযরত উবাইদুল্লাহ ইবনে আবু সওিদ রা. বলেন আমি ইবনে আব্বাস রা.কে বলতে শুনেছি, আমি ওমর রা. এর নিকট নবী করীম সা.এর সেই দু’জন স্ত্রী সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করতে চাচ্ছিলাম যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, তোমরা দুজন যদি অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দিকে রুজু হও তবে তা ভালো, কেননা তোমাদের দু’জনের অন্তর ঝুঁকে পরেছে।অবশেষে ওমার রা. হজ্জে গেলেন এবং আমিও তার সাথে গেলাম। আমি পাত্র থেকে পানি ঢেলে দিলাম এবং তিনি অযু করলেন। আমি, বললাম, “হে আমীরুল মুমিনীন! নবী করীম সা. এর সেই দুজন স্ত্রী কে কে যাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, তোমরা দুজন যদি অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দিকে রুজু হও ভালো, কারণ তোমাদের দুজনের অন্তর ঝুকে পরেছে-৬৬:৪” ওমার রা. বলেন হে ইবনে আব্বাস! আশ্চর্য তুমি এটুকুও জান না? এই কথা জিজ্ঞেস করা তার নিকট অপমন্দ লেগেছে, ওমার রা. বললেন তারা দু’জন আয়েশা ও হাফসা।
সূরা তাহরীম ৬৬:৪ আয়াতটি পড়ার পর অনেক খুজেছি আল্লা তাদের অন্যায়ের জন্য তওবা করতে বলার পর তারা দুজন যে তওবা করেছে এই সম্পর্কে কোন আয়াত আছে কিনা আমি তা পাইনি। কেই যদি এমন আয়াত পেয়ে থাকেন আমি জানার আগ্রহ রাখি, জানালে কৃতজ্ঞ হবো।
———-ফকির উয়ায়ছী