আজঃ বৃহস্পতিবার | ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
Home / অন্যান্য বিষয়াদী / জা‌হে‌লিয়া‌তের যুগ শুরু হ‌য়েছে ম‌নে হয়

জা‌হে‌লিয়া‌তের যুগ শুরু হ‌য়েছে ম‌নে হয়

ফকির উয়ায়ছী:
জা‌হে‌লিয়া‌তের যুগ ম‌নে হয় শুরু হ‌য়ে গে‌ছে। আল্লা পবিত্র কোরআনে বলেছেন রাছুল সা. মু’মিনের প্রানের চেয়েও প্রিয়। রাছুল সা. ভাল বাসলেই আল্লাকে ভালবাসা হয়। যিঁনার সাফায়াত ছাড়া বে‌হে‌স্তে যাওয়া যা‌বে না। আমার নবীর জন্য আমি প্রতিদিন ঈদ পালন করলেই যদি আমার ক্ষতি না হয়। তবে যারা অন্যের যাকাত, ফেতরা খাওয়া লোকের অসুবিধা হওয়ার কারণ কি?

এই অন্যের জান মালের সদকা, ফেতরা খাওয়াগুলি বড় হয়ে অকৃতজ্ঞ হয়। রাছুল সা. কে সন্তুষ্ট কারীদের পথেরবাধা হয়। আর এরা ছোট বেলা থেকেই আল্লা রাছুল সা. এর নাম নিয়ে অন্যেরটা ভক্ষন করে। রাছুল সা.কে খু‌শি করার চেস্টা য‌দি বেদাৎ হয়? এইভা‌বে প্র‌তিবা‌দের পন্থাটা কি বেদাত নয়? যারা অভাব শূণ্য তারা প্রতিদিন ঈদ পালন করলে ক্ষতি কি? বিশেষ করে নবীর নামে। এই নবীর নামে মাদ্রাসা লিল্লা বোর্ডিয়ে প্রতিদিন গোস্ত পোলাও খেতে দিলে খাবে পেট যতক্ষন ভরা থাকবে চুপ থাকবে। পেট খালি হলেই বলবে বেদাত। ভুলেও ভাববেন না খাওয়াটাকে বেদাত বলছে।
যে সব শিক্ষা প্র‌তিষ্ঠানে নবী সন্তুস্ট কর‌ণের পন্থা‌কে বেদাত বলা শিক্ষা দেওয়া হয়। সে সব প্র‌তিষ্ঠানই মূলত বেদাত। কারণ এমন প্রতিষ্ঠান নবীর যু‌গে ছি‌লো না।

রাছুল সা. একটি হাদিস:

{{‘বুশেক আঁইইয়া’তি আ‘লান্নাছি জামানুল লা ইয়াবকা ফিল ইসলামি ইল্লা ইছমুহু ওয়ালা ইয়াবকা ফিল্ কুরআনি আল্লা রাছমুহু মাছাজ্বিদুহুম আ’মিরাতুঁউ ওয়া হুয়া খারাবুম মিনাল হুদা উ’লামাউহুম শাররু মান্ তাহ্তা আদীমিছ ছামায়ি মিন্ ইনদিহিম্ তাখরুজুল ফিতনাতু ওয়া ফীহিম তাউদু’।
অর্থাৎ: শীঘ্রই মানুষের উপর এক জামানা (সময়) আসবে যখন নাম ব্যতীত ইসলামের আর কিছুই বাকী থাকবে না, এবং কুরআনের রীত-রছুম ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। মসজিদ সমূহ আবাদ হবে কিন্তু আবাদকারীরা হবে হেদায়াত শূন্য (বিপথগামী) তাদের আলেমগন হবে আকাশের নীচে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি, তাদের নিকট থেকে ফেৎনা ফাছাদ সৃষ্টি হবে এবং তাদের মধ্যে উহা ফিরে যাবে।}}

উপরোক্ত আলেম দুনিয়াতে অনেক দেখা যাচ্ছে। মিলাদ কিয়ামের পক্ষ নিয়ে বাহাস করেছে শুনে আগ্রহ নিয়ে ফোন করেছি। নারায়গঞ্জ এক মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলার জন্য ফোন দিয়েছি। তার কাছে জানতে চাইলাম আপনার পূর্ণ নামটা যদি বলতেন দয়া করে। তিনি উত্তরে বললেন। হযরত……………..রাহ.। আমি বললাম বুঝতে পেরেছি আপনার সাথে কথা বলে ভাল লাগলো। কারণ আমি যে উদ্দেশ্যে ফোন করেছি সে সফলতা ওয়াজ ব্যবসায়ী দিয়ে হবে না। সে আল্লা এবং নবীর গুনগান করে পয়সা কামানোর জন্য। লোকটির সাথে কথা বলে কোন ফায়দা হবে না আপনারা অনেকেই হয়তো বুঝতে পেরেছেন। তারপরও বলছি। যে লোক নিজের নাম বলার আগে হযরত(জনাব) ব্যহার করে তার সম্মান অন্যের দেওয়া প্রয়োজন পরে না। দ্বিতীয় হচ্ছে নামের শেষে রাহ. লাগালেন তিনি জানেনই না। “রাহ “ এই শব্দটি নিজে ব্যবহার করার কো্ন উপায়ই নাই। কারণ “রাহ “ শব্দটি মৃত মানুষের জন্য প্রযোজ্য। আফসোস হয়েছে ফোনটা কেন দিয়েছিলাম। এই সমস্ত লোকেরাই ইসলাম ব্যবসা ফেরী করে নিয়ে ঘুরে। এই সব লোকের কাছে ইসলাম যেমন সুরক্ষিত বিড়ালের কাছে শুটকি তেমনই সুরক্ষিত।

About Fokir Owaisi

আরও দেখুন

সরণের যুক্তিকতা

ফকির উয়ায়ছী: মানুষের দ্বীন ইসলামের জন্য নিন্মোক্ত ৪:১৩৫ আয়াতটা মেনে চলা অত্যন্ত জরুরী। আখেরাত নিজ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *