আজঃ বৃহস্পতিবার | ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
Home / অন্যান্য বিষয়াদী / চিন্তা করুণ সতর্ক হোউন সময় থাকতে

চিন্তা করুণ সতর্ক হোউন সময় থাকতে

ফকির উয়ায়ছী:

১১:৬# “পৃথিবীতে কোন বিচরণশীল নেই, তবে সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন।”

উপরোক্ত আয়াত মুখে বললেও মানে কয়জনে।

সুধখোর, ঘুষখোর কি মানে এই আয়াত? চিন্তা করে দেখা দরকার। এমনকি এই আয়াত কিছু সংখ্যক আলেম সাহেব মানতে পারেন না। এজন্যই নামায পড়িয়ে মাসিক মাসোহারা, হাদিয়া অর্থাৎ মূল্য নামক বেতন গ্রহন করেন।এই আয়াত যদি মানতে পারতেন তবে বলতেন না বেতন না নিলে সংসার চলবে কিভাবে? কি আশ্চর্য্য আল্লার আয়াত অবমাননাকারী জাহান্নামীরাই জান্নাতের লোভ দেখায়। অথচ আল্লা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন বিনিময় গ্রহনকারীদের অনুস্মরণ না করতে ৩৬:২১ # “অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত।” এমনকি এদের পরিনাম আল্রা বলে দিয়েছেন ২:১৭৪# “নিশ্চয় যারা সেসব বিষয় গোপন করে, যা আল্লাহ কিতাবে নাযিল করেছেন এবং সেজন্য অল্প মূল্য গ্রহণ করে, তারা আগুন ছাড়া নিজের পেটে আর কিছুই ঢুকায় না। আর আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের সাথে না কথা বলবেন, না তাদের পবিত্র করা হবে, বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।” এরা ওয়ারেসাতুল আম্বিয়া দ্বাবী করে অথচ রাছুলের উম্মত দ্বাবী করার যোগ্য নয়। আল্লা হুকুম করেছেন রাছুল সা. এর প্রতি ৪২:২৩# “বলুন, আমি আমার দাওয়াতের জন্যে তোমাদের কাছে কেবল আত্নীয়তাজনিত সৌহার্দ চাই।” এই আয়াতটা মানা উম্মতে মুহাম্মদির জন্য ফরয হলেও সেটা কিছু সংখ্যক আলেম মানেন না।রাছুল সা. এর উপর হুকুম সেটা পালন করা উম্মতে মুহাম্মদির জন্য ফরয। রাছুল সা. যদি এই আলেম সাহেবদের মতন ফতোয়া বের করতেন তবে দোজাহানের বাদসা রাছুল সা. পেটে পাথর বেধে খুধার জ্বালা সহ্য করতে হতো না। কাজেই চিন্তা করবেন সে সমস্ত আলেম সাহেবগন এবং তাদের সমর্থনে বেতন প্রদানকারীগন।যার এবাদত করছেন তার হুকুমই তো পালন করছেন না। এবাদতের ফলাফল কি পাবেন। কাজেই বেতন ভোগীর পিছনে নয় নিজেই দাড়িয়ে জান সামনে গলার সুর সুন্দর না হলেও নামায আদায় করে তৃপ্তি পাবেন। আমার কথায় আস্থা রাখতে না পারলে একবার আদায় করে দেখুন। এবং ভাবুন এই ওয়াক্তে অন্তত্য বিনিময় দিতে হয় নাই। আল্লার হুকুম পালন করেছেন। আমার কথায় বেতনভোগীরা নারাজ হবে মাথায় বাড়ি দেওয়ার চিন্তায় আমায় খুজবে। আমি শুধু আল্লার কোরানের আয়াত গুলি নিয়েই আলোচনা করছি। যা কোরানে বিদ্যমান তারপরও যদি আমার উপর রুষ্ঠ হন। সেটা দ্বায়ভার আমার উপর আসে না বরং আল্লার উপরই বর্তায়। আমি আমার হেফাযত কামনা করি আমার প্রভু সৃষ্টি কর্তা আল্লার।

About Fokir Owaisi

আরও দেখুন

রাছুল সা. এর প্রকৃত উম্মতদের সতর্ক জন্য পর্ব-৭ শেষ

ফকির উয়ায়ছী: উম্মতে মুহাম্মদির জন্য ব্যক্তি বিশেষের কথা কতটুকু মুল্যায়িত হতে পারে? সেটাই জ্ঞানীগনদের বিবেচনা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *