ফকির উয়ায়ছী:
মারেফতের অনুসারীদের সংযোজিত কিছু উদ্ভট কথা আমাকে ভাবিয়ে তুলে। না লিখেও পারি না সত্য চাপিয়ে রাখার ভয়ে। ২:৪২# “তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্ত্বে সত্যকে তোমরা গোপন করো না।” আসলেই কি তরিকতের মহাজন আল্লাকে কম কম ডাকার পথ বাতলে দিয়েছেন! সেটা মেনে নিতে মন সায় দেয় না। আজ একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা চেষ্টা করবো ছোট পরিসরে। আর চিন্তার ভার থাকবে আপনাদের উপরে। প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে ভুলে যাই মাফেতরে বাদশা মওলা আলীকে! কোথায় গেল মওলা আলীর মারেফত? উপমা উদাহরনে পাই না কেন?
মারেফতে যে সমস্ত অনুসারীগন দমের সাধন করেন এবং এমন শিক্ষার প্রচলন ঘটাচ্ছেন। তাদের চিন্তা করতে বলবো। আপনারা যে ব্যক্তির উদৃতি দিয়ে হরহামেশাই কথা বলেন। জি আমি লালন সাইজির কথা বলছি। তিনার একটি বাণীর কথা স্মরণ করিয়ে দিতে হয় এই আলোচনায়। “২১৬০০ বারে নিত্য আসা যাওয়া করে’। আমার বিশ্বাস সাঁইজি মানুষের দমের কথাই বলেছেন। প্রতিটি স্বাভাবিক সুস্থ মানুষ ২৪ ঘন্টায় ২১৬০০ নিশ্বাস নেয় প্রশ্বাস ছাড়ে। যদি ধরে নেই ঠিক ততবারই আল্লাকে ডাকার প্রতি সচেতন করেছেন তিঁনার গানের কথার মাধ্যমে। আমার ধারনার সাথে যারা একমত হতে পারবেন তাদেরকে চিন্তা করতে বলবো। দম সাধন করে ক্রমে ক্রমে ২১৬০০ বার থেকে যতসম্ভব কমিয়ে আনলে আল্লাকে ডাকার পরিমানও কমে যাবে। এই দম সাধনাকারীদের দল বলে এটা কমিয়ে এনে ১০০০০বার করতে পারলে ভাল। আল্লার স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে গেলেই মানুষের প্রতি জুলুম হয়। যে লোকটা এই শিক্ষা দিচ্ছে জোয়ান বয়সে লাফালাফি করছন ঠিকই কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে কাপড় ঠিক রাখা বড় কঠিন হয়ে যাবে। আল্লা নিয়মের তো কোন পরিবর্তন নাই আল্লা কোরআনে বলেছেন। আর এই দম সাধনাকারীরা তো ইচ্ছা থাকলে তা ধরে রাখতে পারবেন না। আল্লা যে দমের স্বাভাবিক প্রকৃয়া চালু করে দিয়েছেন প্রতিটি সৃষ্টির জন্য ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এটার মধ্যে যে কোন পরিবর্তনই অশান্তির কারণ হবে শান্তিতে বিঘ্ন ঘটবে। চিন্তা করে দেখা দরকার শান্তিতে যদি বিঘ্ন ঘটে সে কর্ম ইসলামের হতে পারে না। ইসলাম হচ্ছে শান্তি এর কোন ব্যপতয় ঘটলেই সেটা ইসলাম নয়। বা আল্লার মনোনীত ইসলামের নয়। কাজেই এটা ইসলামে ব্যক্তি বিশেষের দ্বারা সংযোজিত বেদাত।