আজ হযরত রহিম শাহ সাহেবের ওফাত দিবস।
আজ ২৬শে মার্চ আমাদের উয়ায়ছী তরিকতের বাংলাদেশের প্রথম এবং প্রধান প্রবর্তক হযরত শাহ সৈয়স আব্দুর রহিম উয়ায়ছী রাহ. এর ১০৫ তম ওফাত বার্ষিকী পার হলো। যিনি এই তরিকতের জন্য জগত বিখ্যাত বাণী রেখে গেছেন “একেলা থাকিতে যদি হয় দুনিয়াতে, তবুও না ছড়িবো ফেল কোরআনের মতে” অর্থাৎ যদি দুনিয়াতে একাও থাকতে হয় থাকবো তবুও কোরআনের সাথ ছাড়বো না। তিঁনি পালন করে দেখিয়ে গেছেন আর এই তরিকতের মানুষ আমরা চেষ্টা করছি উনার নির্দেশিত পথে চলতে এবং চালাতে। আল্লা যেন আমাদের শয়তানের ওয়াস ওয়াসা থেকে রক্ষা করে তরিকতের পথে চলার পথ সুগম করেন। প্রখাত এই পির এ কামেলের প্রকাশিত দুটি কিতাব মারেফত পন্থিদের অন্তরের খোড়াক হিসাবে ভূখ মিটাচ্ছে শত বছর ধরে। এমনকি নিজকে জানার জন্য দেহ তত্ত্ব সাথে মুহাম্মদী তত্ত্ব সম্পর্কে লিখে গেছেন। তিঁনার মত করে নতুন ভাবে ২৫০ টি আয়াতের তর্জমা করে লিখে গেছেন মসনবী নামক একটি কিতাব। মোজাদ্দেগনের করণীয় কোরআনের অর্থ ঠিক রেখে নতুন ভাবে নিজের মত করে তর্জমা করা। যা কিনা মোজ্জাদ্দের রহিম শাহ সাহেব করে গেছেন। হযরত শাহ সৈয়দ আব্দুর রহিম উয়ায়ছী রাহ. ১৪০০ শতাব্দির মোজাদ্দেদ উয়ায়ছী তরিকতের জন্য। তিঁনি তার দুই ছেলেকে কোলে বসিয়ে বায়াত করে তিঁনার আপন ছোট ভাই বাংলার এক বুলবুল হযরত সৈয়দ শাহ আব্দুল কাদের উয়ায়ছী রাহ. এর কাছে সপে দিয়ে জান তরিকত শিক্ষাদীক্ষা দিয়ে বড় করেছেন। এবং খেলাফতি দিয়েছেন। এবং প্রচন্ড নিস্বার্থবাদী হওয়ায় দুই ভাতিজাকে বলেছেন তোমরা তোমার বাবার খলিফা হিসাবেই প্রচার করবে।
————-ফকির উয়ায়ছী