বিবেকবানরা বিবেচনা করার যোগ্য
===========================
ফকির উয়ায়ছী:
সূরা ইউনুস আয়াত ৩৬
وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلَّا ظَنًّا إِنَّ ٱلظَّنَّ لَا يُغْنِى مِنَ ٱلْحَقِّ شَيْـًٔا إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌۢ بِمَا يَفْعَلُونَ
ওয়ামা-ইয়াত্তাবি‘উ আকছারুহুম ইল্লা-জান্নান ইন্নাজ্জান্না লা-ইউগনী মিনাল হাক্কিশাইআন ইন্নাল্লা-হা ‘আলীমুম বিমা-ইয়াফ‘আলূন।
বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে।
সূরা আন-নাজম আয়াত ২৮
وَمَا لَهُم بِهِۦ مِنْ عِلْمٍ إِن يَتَّبِعُونَ إِلَّا ٱلظَّنَّ وَإِنَّ ٱلظَّنَّ لَا يُغْنِى مِنَ ٱلْحَقِّ شَيْـًٔا
ওয়ামা-লাহুম বিহী মিন ‘ইলমিন ইয়ঁইয়াত্তাবি‘ঊনা ইল্লাজ্জান্না ওয়া ইন্নাজ্জান্না লাইউগনী মিনাল হাক্কিশাইআ-।
অথচ এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই। তারা কেবল অনুমানের উপর চলে। অথচ সত্যের ব্যাপারে অনুমান মোটেই ফলপ্রসূ নয়।
উপরোক্ত দুটি আয়াত বলার পড়ার পর যদি আপনাদের বিবেক নাড়া না দেয় তবে জেনে রাখা উচিৎ আপনারা সূরা আরাফের ১৭৯ আয়াতের অনুসারী। আয়াতটি উল্লেখ করছি নিন্মে:
সূরা আল-আরাফ আয়াত ১৭৯
وَلَقَدْ ذَرَأْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِيرًا مِّنَ ٱلْجِنِّ وَٱلْإِنسِ لَهُمْ قُلُوبٌ لَّا يَفْقَهُونَ بِهَا وَلَهُمْ أَعْيُنٌ لَّا يُبْصِرُونَ بِهَا وَلَهُمْ ءَاذَانٌ لَّا يَسْمَعُونَ بِهَآ أُو۟لَٰٓئِكَ كَٱلْأَنْعَٰمِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ أُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْغَٰفِلُونَ
ওয়া লাকাদ যারা’না-লিজাহান্নামা কাছীরাম মিনাল জিন্নি ওয়ালইনছি লাহুম কুলূবুল্লাইয়াফকাহূনা বিহা- ওয়া লাহুম আ‘ইউনুল্লা-ইউবসিরূনা বিহা- ওয়া লাহুম আ-যানুল্লা-ইয়াছমা‘উনা বিহা- উলাইকা কালআন‘আ-মি বাল হুম আদাল্লু উলাইকা হুমুল গা-ফিলূন।
আর আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ।
আরাফের ১৭৯ আয়াতটা পড়েও যদি আপনাদের বোধ উদয় না হয় নিন্মের আয়াতটা অবশ্যই আপনাদের জন্যই প্রযোজ্য।
সূরা আয-যারিয়াত আয়াত ১০
قُتِلَ ٱلْخَرَّٰصُونَ
কুতিলাল খাররা-ছূন।
“অনুমানকারীরা ধ্বংস হোক।”
আল্লার কথা তো মিথ্যা হবে না। এই আয়াতের অন্তর্গত অনুমানে সেজদাকারীরা অগ্রগন্য ঠিক তেমনি অনুমানে পীরের চেহারা ধ্যানকারীরাও বাদ থাকবে না। আল্লার কুদরতি পায়ে সেজদা অনুমান ব্যতীত কিছুই নয়। আল্লা সেজদা পেলো কিনা কেউ বলতে পারেন না। তেমনি পীরের চেহারা যখন ধ্যান করেন আপনী যে অবস্থায় চোখে ভাসে তখন সে পীর ঐ অবস্থায় থাকে না। আপনী মোরাকাবায় বসে ধ্যান করছেন পীর সাহেব আপনার সামনে বসা। কিন্তু বাস্তবে তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আপনাদের মতন অনুমান নির্ভর আমলকারীদের অবস্থান ধ্বংস স্তুপের মধ্যে জেনে রাখুন উপরোক্ত আয়াত যদি সত্য সঠিক হয়। আল্লার কোরান পড়ে যারা আল্লার সম্পর্কে জ্ঞাত হবে না তাদের ভয় তো মেকী। সে ভয় নেহায়েত লোক দেখানো। উদাহরন সরূপ মসজিদে গেলে আল্লার ভয় থেকে জুতা চোরের ভয়টাই বেশী। বিবেচনা আপনাদের বিবেচনা করুণ নিজেদের অবস্থান ঠিক বুঝতে পারবেন।