আজ অনেকদিন পর দেখে এলাম হায়দার বাবার রওজা। জিয়ারত করে ছবি উঠিয়ে নিয়ে এলাম। আমার সৃতিতে থাকা কিছু কথা শেয়ার করছি আপনাদের মাঝে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সলিমুল্লাহ রোডের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ত্ব ‘হায়দার বাবা’ চলে গেছেন ২০১৪ সালে। অনেকদিন থেকে দেশের বাইরে যারা আছে তাদের অনেকেই এখনও হয়তো জানেনই না হায়দার বাবা নাই। ধানমন্ডি মোহাম্মদপুর এলাকার লোকেরা মনের অজান্তেই তিনাকে খুজেন। আমি জানি তিঁনি নেই তার শেষকৃত অনুষ্ঠানেও থাকার সুযোগ হয়েছিল আমার। তারপরও রাস্তা দিয়ে হাটার সময় মনে পরে তিনার কথা। উনার সাথে পথ চলা হয় নাই কোন দিনও। লোক সমাজের মানুষ ভাল চোখে দেখেন না বলে তবে আমার মন যেদিন চাইত সেদিন খোজ নিয়ে তিনি যে দরবারে থাকতেন তিঁনার ওখানে যেয়ে বসতাম। আমি যেতাম না শুধু শুধুই। আমি যেদিন রাত্রে তিনাকে স্বপ্ন দেখতাম পরদিন সকালে তিঁনার কাছে উপস্থিত হতাম। আমি তরিকতের একজন খলিফা কিন্তু উনার মধ্যে কি যেন ছিল সেটা বুঝার ক্ষমতা হয়নি আজও। তবে কিছু একটা ছিল। প্রথম যেদিন আমি তাকে স্বপ্ন দেখি পরদিন সকালে উভয় দরবারে গিয়ে না পেয়ে খুজতে খুজতে শেষে ফোনে জানতে পারলাম হুমায়ুন রোডে এক মসজিদের কাছে বসে আছে। গিয়ে হাজির হলাম সেখানে। কিছুক্ষন বসার পর আযান হলো সেদিন ছিল জুম্মার দিন। আমি সমজিদে গেলাম নামায পরে আবার ফিরে এলাম তিনার সামনে। কিছুক্ষন বসার পর বললাম বাবা আমি আসি তিনি মাথা দিয়ে মানা করলেন। আমি বসে রইলাম বেশ কিছুক্ষন তিনি ঘুমিয়ে পররেন। এদিকে বাসায় সবাই অপেক্ষা করছে খাওয়ার জন্য বার বার ফোন দিচ্ছে। সেখান থেকে একজন বললো এখন চলে যেতে পারেন আমিও চলে আসলাম। আমি বসে থাকলে হয়তো কিছু বলতেন। কি বলতেন সেই চিন্তাটায় এখনো মাথায় আসে। বৃহস্পতিবার তিনার মৃত্যু দিবস উপলক্ষে প্রতি সপ্তাহে মিলাদ মাহফিল করেন তিনার মাজারে।তিনার ভক্তদের সমাগম হয়। তিনি ছিলেন মজ্জুব হালতে থাকা একজন মানুষ। তিনি কাউকে মুরিদ করেন নাই। মজ্জুব হালতে থাকা মানুষ যারা বায়াত করেন না। তাদের পির বলা যায় না। তিনার প্রচুর ভক্ত ছিল এবং এখনোও আছে ভবিষত্যেও ভক্তের সংখ্যা বাড়বে দিন দিন। আমিও তিনার একজন ভক্ত।
