ফকির উয়ায়ছী:
মানুষের দ্বীন ইসলামের জন্য নিন্মোক্ত ৪:১৩৫ আয়াতটা মেনে চলা অত্যন্ত জরুরী। আখেরাত নিজ প্রাপ্তিতা থেকে গড়তে হয়। আমাদের পূর্ববর্তী মুরুব্বীগন অথবা বাবা মাকে অনুসরন করলেই সঠিক দ্বীন পাওয়া যাবে। এই কথা মনে করা মানুষদের একটা কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। ইব্রাহিম আ. যদি তাঁর পিতার আদর্শ ধরে রাখতেন তবে আমাদের কাছে ইসলাম আসতো না। আমরাও মূর্তি পুজারী হয়ে থাকতাম। মুসলমান দ্বাবী করার সুযোগও হতো না।
৪:১৩৫# “হে ঈমানদারগণ, তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক; আল্লাহর ওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্যদান কর, তাতে তোমাদের নিজের বা পিতা-মাতার অথবা নিকটবর্তী আত্নীয়-স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও। কেউ যদি ধনী কিংবা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ তাদের শুভাকাঙ্খী তোমাদের চাইতে বেশী।”
কোরআনে আল্লা বলেছেন। আমার কোন সাদৃস্য নাই।
৪২:১১# “লাইসা কামিছলিহি শাইউন” অর্থৎ-তাঁর (আল্লার) কোন মেছাল (সাদৃশ্য) নাই।
মুসলমানের জন্য কোন ব্যক্তি সত্ত্বা বা কোন বস্তুর সরণ করা বৈধ নয়। আমি একটা বিষয় চিন্তা করার অনুরোধ করবো। যদি মারেফতের জন্য পির চেহারা সরণ/ধ্যান করা সঠিক হয় তবে ভিন্ন ধর্মে জড় বস্তুর ধ্যানে বাধা কোথায়?
আমি একটি ছবি দিয়ে আলোচনাটা পরিষ্কার করতে চেষ্টা করি উত্তম কোনটা চিন্তা আপনারা করবেন। ছবির বস্তুটি স্থির এবং অপরিবর্তন যোগ্য। এটাকে দুর থেকে সরণ করলেও একই থাকবে কারণ এটা নির্জীব একটা স্থির বস্তু মাত্র।
আমারই মতন একজন ২পা ওয়ালা (পির) প্রাণীকে যখন তার মুরিদগন সরণ করবে পিরের সাথে শেষ মিলনের দৃশ্যটাই চোখে ভেসে উঠবে। এ কথা সকলেই মেনে নিবেন। মুরিদ যদি সে চেহারা আল্লা মনে করে ধ্যান করতে থাকে মুরিদের শেষ সাক্ষাতের মুহুর্তটাই। মুরিদের সাথে শেষ সাক্ষাত যখন হয়েছিল তখন একটা সুন্দুর পরিবেশেই দেখেছিলেন। কিন্তু যখন ধ্যান শুরু করলেন কল্পনায় ঠিক তখন পির সাহেব হয়তো নানান কাজে ব্যস্ত। এমনও হতে পারে বাথরুমে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিয়ে নিজের ঘাম ঝড়াচ্ছেন। কোষ্ঠ্যকাঠিন্নের কষ্টে তারাই জীবন যায় অবস্থা। মুরিদ কেন দুনিয়ার কোন কিছুরই খবর নাই। আমার আল্লার সব কিছুর উর্দ্ধে। এই জন্যই হয়তো আল্লা কোরআনে একাধিকবার বলেছেন। কল্পনা সত্যে ধারেও যায় না।-১০:৩৬, ৫৩:২৮ কল্পনার ইবাদত মুসলমানের জন্য হারাম। কাজেই অস্থির চিত্তের চঞ্চল প্রাণীর চেয়ে স্থির বস্তুর ধ্যানেই তো একাগ্রতা বেশী আসার কথা। এটা আমার যুক্তি এবং বিশ্বাস।
যেন কোন বস্তু বা সত্ত্বার ধ্যান মুসলমানের জন্য মারেফতের মধ্যে বেদাত (সংযোজন) এই প্রসঙ্গে যত বড় বিজ্ঞ পন্ডিত তার আকিদায় কিতাবে বা গানে প্রকাশ করে থাকুন তা আমার আল্লা এবং রাছুল সা. এর উপর মান্যবর মনে করে তারা আমার রাছুল সা. এর উম্মতে থাকতে পারে না। যত বড় যুক্তি বাদী মহা পন্ডিত হোউক তার কথা আল্লার কোরআনের চেয়ে বড় দলিল মানলে আল্লার বিরোধী মুশরিক কাফের হতে হবে। কাজেই চিন্তা করা দরকার।
পিরআল্লাকে ধ্যান করার চেয়ে তো মুর্তির ধ্যান আমার কাছে উত্তম বলেই মনে হয় বিবেচনার ভার বিজ্ঞজনদের উপর।
