“একেলা থাকিতে যদি হয় দুনিয়াতে, তবুও না ছড়িবো ফেল কোরআনের মতে” অর্থাৎ ‘যদি দুনিয়াতে একাও থাকতে হয় থাকবো তবুও কোরআনের সাথ ছাড়বো না’।
উপরোক্ত কথাটি মেনে চলার দরুন বন্ধুর বড় অভাব। অথচ আল্লা পবিত্র কোরআনে বলেছেন ৯:১১৯# “হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক।” এই আয়াতের মানুষ তো মানে না মানে যারা দলে বড় সংখ্যায় যারা বেশী তাদের কর্মই সঠিক মনে করছে তারা চিন্তা করছেন না দুনিয়াই শেষ নয়। আখেরাতে দলে বড় হলে সঠিক সেটা মানার কোন উপায় নাই। আল্লার কথা না মেনে বড় বড় পন্ডিতের এবং বাপ,দাদার কর্মের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকলে কেয়ামতের ময়দানে রক্ষা পাওয়া যাবে না।
আমার এই লিষ্ট থেকে প্রতিদিনই কেউ না কেউ চলে যায় যখন তাদের স্বার্থ বিরোধী আল্লা এবং রাছুল সা. বিরোধী কর্মের কথা তুলে ধরি তখনই তাদের সাথে দ্বিমত হয়।
৩৬:২১# “অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত।”
এই আয়াতের কথা উল্লেখ করলেই কেউ গালাগালি দেয় আর ভদ্রতার লেবাসধারীগন না বলে লিষ্ট থেকে আমাকে আনফ্রেন্ড করে দেয়। দলে ভারীরাই তাদের কাছে উদাহরন হয়ে দাড়ায়। কারণ লেবাসধারীদের তো দরকার সোয়াব। আল্লার হুকুম মানে না সোয়াবেরই সোয়াবের আসায়। তারা সকলেই মুখে বলে আমি আল্লাকে ভয় পাই আসলে সেটা মুখেরই বলি মাত্র। উপরোক্ত আয়াত প্রদর্শন করে শরিয়ত জগতের মানুষ আমাকে ছাড়ে যখন আমি বলি আল্লার নিষেধ থাকা সত্ত্বেও ইসলামের দাওয়াতের জন্য কেন বিনিময় গ্রহন করেন। তখন আমি খারাপ হই।
মারেফতের অনুসারীরাও আমাকে পরিত্যাগ করে। যখন আমি উল্লেখ করি নিন্মের দুটি আয়াত:
৫:৭৩# “নিশ্চয় তারা কাফের, যারা বলেঃ আল্লাহ তিনের এক; অথচ এক উপাস্য ছাড়া কোন উপাস্য নেই।”
৫:১৭# “নিশ্চয় তারা কাফের, যারা বলে, মসীহ ইবনে মরিয়মই আল্লাহ।”
কোরআনে আল্লা নবীকেই আল্লা মানলে আল্লা তাদের কাফের বলে। আমাদেরই মতন পাপীষ্ঠ মানুষের মাঝে আল্লা এবং রাছুল দেখলে আল্লা তাদের কি বলতে পারেন? পিরের মাঝে আল্লা এবং রাছুল দেখলে তো তিনকে এক মনে করা আর একের মধ্যে তিন দেখার কোন ব্যতীক্রম হলো না। মারেফতের মানুষগুলি গালাগালি করে অনেকেই চলে যায়। তবুও চিন্তা করে না আল্লা কোরআনে কি বলেছে। সেখানেও দলে বড় লোকগুলি যেটা বলছে সেটাই মেনে নেয় আল্লা কি বলেছেন কোরআনে সেটার ধার ধারে না।
যখন আমি ইসলামের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করি তখন আমাকে একদল শিয়া মনে করে চলে যায়। আর শিয়া মাজহাবেন অনুসারীগন আমাকে শিয়া মনে করে। যখন আমি বলি শিয়া হবো কেন? আল্লা রাছুল সা. এর সুন্নত পালনে সুন্নি হিসাবে গর্ভবোধ করি। শিয়াদের কিছু কিছু কর্মকান্ড সনাতন ধর্মাবলম্বীদের যেটা ইসলামের জন্য মুসলমানদের কাছে মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। তখন শিয়ারও আমাকে গালাগালি করে ভন্ড ব্যবসায়ী বলে চলে যায়।
কোন কিছুতেই দুঃখ পাই না যদি আল্লার অনুগ্রহ পাই সত্য কথা বলার। আল্লার কোরআনের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার। একটি মানুষকেও যদি আল্লার কথার উপর চিন্তাশীল করতে পারি। আল্লাকে কিভাবে সত্যিকারে ভয় করতে হয় সেটা বুঝতে মানুষের মনে চিন্তার উদয় করতে পারি। তাতেই আমার জীবন স্বার্থক মনে করবো। আমাকে কে কি ভাবলো সেটা জেনে আমার কোন ভাল ক্ষতি হবে না। মানুষ হয়ে মানুষের ভাল চিন্তা করাই আমার ধর্ম মনে করি। আমার সৃষ্টির কৃতজ্ঞতার জন্য বলে যাচ্ছি। আল্লা যেন আমার প্রতি নারাজ না থাকেন। আর যারা আমাকে সন্দেহ বসত উল্টা পাল্টা ভাবছেন এমন চিন্তাভাবনা কারীদের জন্য আল্লা আয়াত নাজিল করেছেন আয়াতগুলি নিম্নে উল্লেখ করছি এবং তিঁনার উপর বিচার রাখছি: