ফকির উয়ায়ছী-Fokir:
আল কোরআনের একটি আয়াতে দিয়েই শুরু করছি। আল্লাহ এই আয়াতটিতে রাসূল সা.কে হুকুমই করেছেন ‘বলুন’ বলে।সূরা আল ইমরানের ৩১ নং আয়াতে “বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।”
রাসূল সা. এর প্রতি আমাদের ভালবাসা প্রদর্শনে তিঁনার পক্ষে দুটি কথা বলাই কি বিরোধীতা হয়ে যাবে? আমি তো মনে করি রাসূল সা. এর প্রতি ভালবাসারই প্রকাশ ঘটবে। কেন আমরা কার্পন্য করবো? যদি কার্পন্য করি তবে কি রাসূল সা. এর সাফায়্যাত পাবো বলে আশা করা যায় না। আল্লাহ তো তিঁনার পবিত্র কোরআনে কিছুই লিখতে বাকী রাখেন নাই। আল্লাহ এও লিখেছেন আল্লাহকে ভালবাসলে রাসূল সা. ভালবাসতে এবং রাসূল সা. ভালবাসলে আল্লাহই আমাদের ভালবাসবেন। আল্লাহ খুব পরিষ্কার করেই বলেছেন।
রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষ্যদাতা সূরা বাকারার ১৪৩ নং আয়াতে। রাসূল সা. এর প্রতি ভালবাসার কমতি হলে সাফায়্যাত পাওয়ার কোন উপায় নাই। রাসূল সা.কে ভালবাসায় ঘাটতি হলে আল্লাহর ক্ষমা পাওয়া যাবে না। আমলের পাহাড় যত বড় উচু হোউক বেহেস্তের আশা বিফল। কাজেই সকলের প্রতি আহবান সমস্ত মুসলিম ঐক্যবদ্ধ হয়ে সৌদি সরকারের কাছে আহবান করুন। চিরস্থায়ী ভাবে আইন পাশ করার জন্য। এটাই শ্রেষ্ট সুযোগ এসেছে কথা বলার এবং রাসূল সা. এর প্রতি ভালবাসা প্রদর্শন করার।
এ কথা মিথ্যা নয় যে দুষ্ট ইয়াজিদের ইবন মুয়াবিয়া শাসন আমলে একবার আমাদের রাসূল সা.’র রওজা মোবারক গুরিয়ে দিয়ে ঘোড়ার আস্তাবল বানিয়ে ছিল। এটা তো অস্বাভাবিক নয় যে; কোন দিন আবার গোপনে সেই গোষ্ঠীর একজন ইয়াজিদের অনুসারী সরকারে এসে সেই চেষ্টা করবে! ওমর বিন আব্দুল আজিজ মত নবী প্রেমিক মানুষ ক্ষমতায় এসেছিলেন বলেই রওজা পুনরায় তিনার খেলাফতের সময় সংস্কার করা হয়েছে। আল্লাহ আমাদের নবী সা.কে প্রেরণ করার আগে প্রায় ৫০০শত বৎসর কোন নবী পাঠান নাই। সেটা জাহেলী যুগ ছিল। একটা কথা খেয়াল করে দেখবেন আল্লাহ অধিকাংশ নবী সে দেশেই প্রেরণ করেছিলে এতেও বুঝা যায় সে দেশের লোকের ঈমানের অবস্থা। তাই এই সরকারকে উত্তম মেনে নিয়েই আহবান করা। সৌদি সরকারের কাছে প্রত্যেক মুসলমান রাস্ট্রেরই উচিত হবে দ্বাবী জানানোর। নবী প্রেমিকগনদেরকে যেন চিরস্থায়ীভাবে আসস্ত করার জন্য। একটি আইন পাশ করার আহবান জানানো।“রাসূল সা. এর রওজা মোবারক কিয়ামত পর্যন্ত যেখানে স্থাপিত আছে সেখানেই অনর থাকবে।” সে সাথে আমাদের দেশের সরকার এবং বিরোধী দলিয় নেতারদের আহবান জানাচ্ছি তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই দ্বাবী জানানোর। এমনকি আমাদের দেশের প্রতিটি মুসলমান ভাইয়ের প্রতিও রইল বিশেষ আহবান।
