হাদিস:-
“কুল্লু বেদআ’তুন দালালাতুন” অর্থাৎ- প্রত্যেক বেদাতই (সংযোজন+ বিয়োজন) পথভ্রষ্টতা।
বেদাৎ সংক্রান্ত প্রশ্ন-৪
কোরআন ৫ নং সূরা মায়িদা ৩৮ নং আয়াত (“যে পুরুষ চুরি করে এবং যে নারী চুরি করে, তাদের হাত কেটে দাও তাদের কৃতকর্মের সাজা হিসেবে। আল্লাহ্র পক্ষ থেকে হুশিয়ারী।”) এবং ৫ নং সূরা মায়িদার ৪৪ নং আয়াতে (“যেসব লোক আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই কাফের।”)
* বুখারী ৬৩২৩ নং হাদীসে উল্লেখ আছে হুজুর (সা:) বলিয়াছেন, দীনারের এক চতুর্থাংশ মূল্যের সমপরিমান (মাল) চুরির দায়ে হাত কাটা যাইবে।
আল কোরআন ৩৩ নং সূরার ৩৬ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, “আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল কোন বিষয়ে ফয়সালা করলে কোন মু’মিন পুরুষ কিংবা মু’মিন নারীর নিজেদের কোন ব্যাপারে অন্য কোন সিদ্ধান্তের ইখতিয়ার থাকবে না। কেউ আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল কে অমান্য করলে সে তো স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে।”
* বুখারী ৬৩২১-৬৩২২ নং এবং অন্য একাধিক হাদীস “হযরত আয়েশা (রাদী:) হইতে বনির্ত হাদীস থেকে জানা যায় কুরাইশ বংশের এক মহিলা চুরি করায় সকলে মিলিয়া উসামা ইবনে যায়েদকে দিয়ে নবীজীকে সুপারিশ করায় চুরির শাস্তি রদ করার। ইহাতে হুজুর (সা:) বলেন, তুমি কি আল্লাহর দন্ডবিধি সমূহ হইতে একটি দন্ডের ব্যাপারে সুপারিশ করিতেছ এবং এও বললেন আল্লাহর কসম যদি আমার {মুহাম্মদ (সা:) এর} কন্যা ফাতেমাও চুরি করে, তবে মুহাম্মদ (সা:) নিশ্চয়ই তাঁহার হাত ও কর্তন করিবে।”
আল্লা রাছুল সা. এর বিচারে চুরি করলে হাত কাটার বিধান মুসলমানদের ছিল। কোরআনের আয়াতের তোয়াক্কা না করে যিনি আল্লা এবং রাছুল সা. আইন রদ (বাতিল) করেছেন তিনি যেই হোউক না কেন উপরোক্ত হাদিস অনুযায়ী কি বেদাৎ শুরু করেন নাই? আল্লার হুকুম আমাকে ভাল বাসতে চাও আমার রাছুলকে অনুসরণ করো।
—————ফকির উয়ায়ছী