ফকির উয়ায়ছী:
আল্লা পবিত্র কোরআনে বলেছেন রাছুল সা. নিজ থেকে কিছু বলেন না। ৫৩:৩# “প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।”
বিজ্ঞ আলেম সাহেবগন বলেন পির ফকিরগন যাহাই করে সবই বেদাৎ। এমনকি তারা এও বলে পিরতন্ত্রটাই বেদাৎ। ভাবছি কিছু বেদাৎ নিয়ে আলোচনা করবো। নিন্মের হাদিসটা তারা সব সময়ই বয়ান করে বেদাতী প্রমানের জন্য।
হাদিস:-
“কুল্লু বেদআ’তুন দালালাতুন” অর্থাৎ- প্রত্যেক বেদাতই (সংযোজন+ বিয়োজন) পথভ্রষ্টতা।
বেদাৎ সংক্রান্ত প্রশ্ন-৩
ইসলামের ৫টি স্তম্ভ যথা:
কালেমা, নামায, যাকাত, রোযা এবং হজ্জ।
১/ লোকটি কলেমা পড়ে তাকে কোন বিশেষনে ব্যবহার করা হয় না নামের সাথে।
২/ যে নামাজী লোকটির নামায আদায় করতে করতে মলে গেলেও নামের সাথে নামাযী উপাধি লাগানো হয় না।
৩/ যে লোক জীবনে যাকাত একাধিক বার দিয়েছে তার নামের সাথে উপাধি দেওয়া হয় না।
৪/ যে লোক জীবনে কোন দিন রোযা বাদ দেয়নি তার নামের সাথে উপাধি দেওয়া হয় না।
সাড়া জীবন অপরাধ করে এসেই ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ পূরা করলেই নামের সাথে হাজী উপাধিটি ব্যবহার করে; টা কি বেদাত নয়? এমন অনেক চোর, ঘুষখোর আছে যারা অবৈধ পয়সা দিয়েই হজ্জ করে অন্যের টাকায় হজ্জ করে এমনকি অন্যের টাকায় বদলি হজ্জ করে তাদের নামের সাথে হাজী ব্যবহার করে। মরলে পরেও সাইন বোর্ডে লিখে দেয় হাজী অমুক। এমন অনেক লোক আছে ইসলামে যাকাতের রসুম কোনদিনই পালন করে নাই। টাকা জমিয়ে হজ্জ করেছে। তার জন্য হজ্জ তো বৈধই নয়। কিন্তু হজ্জে গিয়ে ফিরে হাজী হয়ে। এটা কি বেদাতের মধ্যে পরে না? রাছুল সা. এবং তিঁনার কোন সাহাবারাও তো হাজী লিখেছেন বলে কোন দলিল পাওয়া যায় না। রাছুল সা. যেহেতু করেন নাই এই সংযোজন তো বেদাতই বলে ধরে নেওয়া যায় উক্ত হাদিসের বলে।
