ফকির উয়ায়ছী-Fokir:
আজ বড় দু:খের সাথে বলতে হচ্ছে রাসুল সা. অস্তিত্ত রক্ষার জন্য মুসলমাদের মধ্যে একত্ত্বতা খুব জরুরী হয়ে পরেছে। ইহুদীদের দালাল চক্র ইয়াজীদের রক্তের কোন বংশধর গোপনে ঘাপটি মেরে বসে আছে রাসুল সা. সব সৃতিচিহ্ন মানুষের মন থেকে চিরতরে মুছে দেওয়ার জন্য। কিন্তু সত্যিই কি সম্ভব করতে দিবে সত্যিকারের মুসলমান দ্বাবীদারগনরা? আজ যে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেগেছে এবারও যদি মুসলমানগন চুপ থাকে তবে রাসুল সা. সাক্ষ্য তাদের জন্য কি মিলবে? ভুলে গেলে চলবে না আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন “রাছুল তোমাদের জন্য সাক্ষ্যদাতা”। যারা রাসুল সা. সাফায়্যাত লাভের আশায় আছেন তারা কি করে আশা করেন? কেন রাসুল সা. আমাদের সাক্ষ্যদাতা হবেন। কেউ যদি মনে করেন রাসুল সা. সাক্ষ্য দিতে বাধ্য সেটা নেহায়েতই ভুল হবে। রাসুল সা.কে যদি সন্তুষ্ট করতে নাই পারি জাহান্নামেই পচতে হবে।
হে আল্লাহ তুমি তো পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করেছো সূরা আম্বিয়া ২১:১০৭# “আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি”। তোমার সেই শ্রেষ্ট রহমতের সৃতিচিহ্ন রক্ষার জন্য কি কোন পদক্ষেপ নিবে না? আজ আমরা মুহাম্মদ সা. এর উম্মত বড় অসহায় এবং সে সাথে নাফরমান হয়ে গেছি। বার বার আহবান করার পরও নামধারী মুসলমানদের অন্তরে সাড়া জাগানো যায় না। সমস্ত বিশ্ব মুসলিম যদি; এই রাসুল সা. বিরোধী সৌদি সরকারের প্রতি একটি করে লানতের বাক্য বলে তারা তো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। যদি সকলেই প্রতিবাদ করে তবে ওদের ধৃষ্টতা হবে না রাসুল সা. একটি নিদর্শনও উচ্ছেদ করার।
আজ কবি আল্লামা ইকবাল সাহেবের সেই কবিতার চারটি লাইন খুব মনে পরছে:
“মুসলীম! সেতো কবে ম’রে গেছে ইসলাম লেখা কেতাবে,
আকীদা আমল সবই চলে গেছে মুসলীম আজ খেতাবে।
অন্তরে তাদের বাসা বাঁধিয়াছে শুধু লাত মানতের দল,
মুশরিক আজ মুসলীম বেশে করিতেছে কোলাহল।”
মক্কা নগরীতে রাসুল সা. এর জন্মস্থান ধ্বংস করে রাজকীয় প্রাসাদ নির্মাণের বিতর্কিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সৌদি আরব এর প্রতিবাদ করা প্রতিটি মুসলমান দ্বাবীদারগনদের জন্য ফরজ বলেই মনে করি। কারণ যদি প্রতিবাদ না করি হাশরের ময়দানে রাসুল সা. এর সামনে যেন লজ্জা পেতে হবে।
কিছু দিন আগেই রাসুল সা. রওজা প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় দিন রাত্র এক করে জোর কাজ চালাচ্ছেন এই নাফরমান বাদশা। যদি কিছুদিন আগে যখন রওজার কথা হয়েছিল আমি দেশবাসী সহ সমস্ত মুসলিমদের কাছে পেপারের মাধম্যে আহবান জানিয়েছিলাম “সৌদি সরকার আইন করে রাসূল সা. রওজা সংরক্ষন করতে হবে” এই শিরোনামে তখন যদি প্রকৃত মুসলমানগন একযোগে সাড়া দিতেন তবে আজ এই দিন দেখতে হতো না। এখনও সময় আছে সমস্ত বিশ্বের মুসলমানদের আহবান করছি যে যার যার স্থান থেকে প্রতিবাদ করুন। রাসুল সা. রওজা সহ যত নিদর্শন আছে কিয়ামত পর্যন্ত সংরক্ষন করার জন্য সৌদি সরকারকে বাধ্য করুন। যত দ্রুত সম্ভব আইন প্রনয়ন করতে হবে। যদি তা না করা হয় সব দেশ থেকে মুসলমানরা গিয়ে রাসুল সা. রওজা এবং সমস্ত নিদর্শন সমূহ দেখতে না পায় তবে কেন যাবে? সৌদি সরকারের কাছে আহবান জানাই আমাদের নবীর সব সৃতিচিহ্ন আমাদের দেশে হস্তান্তর করুক। সৌদি সরকার আমাদের নবীর সব নিদর্শনই ধ্বংশ করার পায়তারা করছে তবে আমরা সে দেশে কি দেখতে যাবো? সৌদি আরবকে বর্জ্জন করার কথা যদি বলা হয় এই সব অবৈধ কর্ম থেকে বিরত থাকতে তারা বাধ্য। ‘হে আল্লাহ’ তুমি তো অধিকাংশ নবী এবং বিশ্বনবী মুহাম্মদ সা.কেও সেখানে পাঠালে তবে কেন তারা এত পথভ্রষ্ট? তাদের অধিকাংশ কর্মই যে জাহান্নামের অধিবাসীদের মত।
