ফকির উয়ায়ছী:
হাদিস- ৩৬২৪ তিরমিজি
“হযরত উকবা ইবনে আমের রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, আমার পরে কেউ নবী হলে নিশ্চয়ই ওমর ইবনুল খাত্তাব হত।”
এই হাদিসটি হাসান ও গরীব। আমরা শুধু মিশরাহ ইবনে হাইন বর্ণিত হাদীস হিসেবেই এটি জানতে পেরেছি।
হাসান: যে হাদীসের কোনো রাবীর যাবত গুনে পরিপূর্ণতার অভাব থাকে তাকে হাসান হাদিস বলে।
গরীব: সে হাদিস কোন যুগে একজন মাত্র রাবী বর্ণনা করেছেন তাকে গরীব হাদিস বলে।
হাদিসের ভত্তিটি সত্যি খুব দুর্বল থাকা সত্ত্বেওিউপরোক্ত হাদিসটি মোটামুটি সকল মুসলমানগনই জানেন। এর সবই প্রসারতার কারণ হচ্ছে ব্যপক প্রচারের কারণে। আমি আজ উল্লেখ করছি আমার উপর মানুষ হয়তো রাগই হবেন। তবে দেখে সত্য প্রকাশ না করলে তো আল্লার আযাব থেকে রক্ষা পাওয়ার আশা রাখতে পারি না। বিবেকবান গন চিন্তা করে দেখলে আমার আর ভয় পাওয়ারা কোন কারণ নাই। উপরোক্ত হাদিসটিতে উল্লেখ আছে রাছুল সা. এর বরাত দিয়ে বলা হয়েছে “আমার পর নবি হলে ওমর হত”। উল্লেখ বিষয় হচ্ছে রাছুল সা. এর পর নবি না হলেও খলিফা তো হয়েছে সেক্ষেত্রে হযরত ওমরেরই তো প্রথম খলিফা হওয়ার কথা। তবে কি প্রথম খলিফা আবু বকর অবিবেচক ছিলেন? সেটা তো আমি মোটেই মেনে নিতে পারি না। এই হাদিসটি যদি সঠিক থাকতো হযরত আবু বকর খেলাফতের দ্বায়ীত্ত্ব নেওয়া মানে তো রাছুল সা. এর ওসিয়ত না মানার সামিল। কাজেই বিবেকবানগন চিন্তা করে দেখবেন নিজ জ্ঞানে।
কোন একটা গোষ্ঠী রাছুল সা. প্রকৃত ওসিয়ত গোপন করার জন্য এই মিথ্যা এবং বানোয়াট কথা রাছুল সা. এর হাদিস নামে চালিয়ে দিয়েছেন। আপনার পরিবারের কাছে আপনার যদি ওসিয়ত থাকে ভবিষ্যত প্রজন্মদের উপর। আমার ইন্তেকালের পর আমার ২য় ছেলে কোম্পানীর চেয়ারম্যান হবে। বড় ছেলে যদি সেটা না মানে ক্ষমাতার জোরে! সেটা সমাজের দৃষ্টিতে কেমন হবে? সমাজের মানুষ কি ধিক্কার দিবে না? খলীফা নির্বাচনের সময় যদি এই হাদিস উত্থাপিত হতো তবে হযরত ওমরই প্রথম খলিফা হতো কারণ রাছুল সা. এর বাণী ক্ষমতাধরগন ছাড়া পরিত্যাগ করার কোন সাহস হতো না। আমার মতে এই হাদিসটা স্বার্থানেষীগন বানিয়েছেন।
