অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে একটি শোক সংবাদ আপনাদের জানাচ্ছি। আমার অতি প্রিয়জন মানিকগঞ্জ জেলা ডাকড় খালী ইন্তাজগঞ্জ বাজার উয়ায়ছী তরিকতের আদি গোড়া হযরত আব্দুর রহিম শাহ উয়ায়ছী রাহ. সাহেবের বড় ছেলে হযরত শাহ আতাউল হক উয়ায়ছী রাহ. এর গদ্দিনশীন গতকাল রাত্র দুইটার সময় নিজ গৃহে হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। “ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইনা ইলাইহে রাজিউন”। মরহুমের পারিবারিক সূত্রে জানাযায় তিনার জন্ম বাংলা ১৩৩৫ আষার এবং ওফাত ১৬ কার্তিক ১৪২২ বাংলা(৩১.১০.২০১৫ ইং) মৃত্যুকালে তিনার বয়স হয়েছিল ৮৭ বৎসর। আমি তরিকতের বজুর্গগনদের মধ্যে তিনার কাছে সব সময়ই আদর প্রত্যাশি ছিলাম। তিনি আমাকে সব সময়ই বলতেন দাদা সঠিকটা তুলে ধরবা। ফোন করলে এত সুন্দর করে আমাকে এবং আমার পরিবারের সকলের কথাই জিজ্ঞাসা করতেন। আমার মুরশিদ কিবলার পর তরিকত জগতে আমাকে তিনি খুব আদর করতেন। আমার মুরশিদ কিবলাও তিনাকে খুব পছন্দ করতেন এবং তিনিও আমার মুরশিদ কিবলাকে খুব পছন্দ করতেন। আমার মুরশিদ আমাকে খেলাফত দেওয়ার অনেকদি আগে আমাকে একদিন বলছিলেন আমি তোমার মুরশিদকে বলবো তোমাকে তাড়াতারি খেলাফত দিয়ে দেয়। উনি বলেছিলেন চতুরদিকে ভেজালে ভরে গেছে। উনার নিজের স্বাক্ষর এবং সাথে আরোও বেশ কিছু সঙ্গী সহ আমাকে একটা লিখিত দিয়েছিলেন উয়ায়ছী তরিকতে বিভ্রান্তকারীদেরকে সতর্ক করার; সে সাথে ভবিষ্যত প্রজন্মকে সতর্ক করার জন্য। যেন এই সকল বিপথগামী থেকে মানুষ দুরে থাকে। তরিকত প্রচার করার জন্য। আমি বলেছিলাম দাদা এটা বলার দরকার নাই বাবা সময় মতনই আমাকে দিবেন খেলাফত। আজ খুব কষ্ট লাগছে তিনার গলার কথাগুলি কানে বাজতেছে। যেদি হযরত বাহার শাহ সাহেবের নামে মসজিদটির ছবি প্রকাশ করলাম সেদিনও ফোন দিয়েছিলাম ঠিক তিনদিন আগে কেউ ধরে নাই। এত নরম স্বরে কথা বলা মানুষটি চলে গেলেন এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে। উয়ায়ছী তরিকত সব সময়ই বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তা পেয়ে থাকে। কারণ বসুন্ধরা গ্রুপের কর্ণধারের পিতা জনাব ইসমাইল হোসেন সাহেবও আমাদের উয়ায়ছী তরিকতের একজন বুজুর্গ ছিলেন। আমারই তোলা কয়েক বৎসর আগের একটি ছবি আপনাদের জন্য প্রকাশ করলাম।