নবীজির সিনাচাক সম্পর্কে আপন চিন্তা জরুরী-২/৪ পর্ব
========================================================
ফকির উয়ায়ছী:
প্রথম পর্ব যারা পড়েছেন আশা করি তাদের বুঝতে অসুবিধা হবে না। এটা ভেবেই ২য় পর্ব লেখার শুরু করছি। তবে রাছুল সা. এর মাসুমিয়াতের উপর যাদের বিন্দুমাত্র সন্দেহ আছে তারা মুসলমান কাতার থেকে ঠিটকে পরে যাবেন এটা মাথায় রাখা জরুরী। আল্লা তাঁর হাবীব সম্পর্কে বলেছেন “আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী।”-৬৮:৪। সে সমস্ত আলেম সাহেবদের কাছে আমার প্রশ্ন আল্লা কি মিথ্যা বলেছেন ৬৮:৪ আয়াতে? আপনাদের স্বার্থ হাসিল করতে আল্লাকেও বিভ্রান্ত বানিয়ে ছাড়ছেন। নাউজুবিল্লা।
আগের পর্বে উল্লেখ করেছি আল্লার সাথে সাথে রাছুল সা. কেও ভালবাসতে হবে। এই ভালবাসা কেমন হবে। কেমন করে ভাল বাসতে হবে আল্লা কোরানেই বলে দিয়েছেন। যাদের অন্তরে নবীজির সম্মানে খেলাফ জ্ঞান থাকে তাদের ভালোবাসাতেও খাত থাকে। অথচ আল্লা বলেছেন “নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক প্রিয়।”-৩৩:৬। যারা নবীকে এমন প্রিয় মনে করে তারা কি করে ভাবতে পারে নবীর কুলশতা বুক চিরে বের করা হয়েছে বা নবীর মধ্যে কোন কুলশতা থাকতে পারে?। কেন এমন মিথ্যা প্রচারনা করার দরকার? শুধুই নিজেদের রক্ষার জন্য; আপনারা কি কোরানের তওবার আয়াতটি পড়ার পরও রাছুল সা. এর প্রতি অবমাননা থামাবেন না। আপনাদের ধৃষ্ঠতার ফল অবশ্যই আল্লা পরিশোধ করবেন। কামনা করি আল্লা দরবারে আপনাদের এই ফল যেনো এই দুনিয়াতেই আল্লা প্রদান করেন। আল্লা সতর্ক করেছেন “তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার তাদের জন্য তিঁনি (মুহাম্মদ) রহমত বিশেষ। আর যারা আল্লাহর রসূলের প্রতি কুৎসা রটনা করে, তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।”-৯:৬১।
এখনো সময় আছে নিজের ভুলের জন্য আল্লা কাছে ক্ষমা চান আল্লার রাছুল এবং আহলে বায়াতের উসিলা দিয়ে। আহলে বায়াতের উসিলার কথা বলার কারণ হচ্ছে আহলে বায়াতের সদস্যগনরাই যে বেহেস্তের সর্দার। আর আহলে বায়াত নবীর এবং আল্লার কাছে অধিক প্রিয়। সে উসিলা দিলে রেহাই পেতে পারেন। আপনাদের বোধ উদয় হয় না কেন? আল্লা কি কুলশযুক্ত হেদায়েত কারী মনোনীত হরতে পারেন? আল্লা বলেছেন “আমি আপনাকে সমগ্র মানবজাতির জন্যে সুসংবাদাতা ও সতর্ককারী রূপে পাঠিয়েছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।”-৩৪:২৮। কি করে জানবে কোরান পড়া লেবাসি আলেমদেরকেই অন্ধভাবে বিশ্বাস করে রেখেছে। এই সমস্ত আলেম সাহেব মসজিদের মিম্বরে দাড়িয়ে কথা বলেন সাধারন মানুষ মনে করেন এরা মিথ্যা বলতে পারেন না। অন্ধ বিশ্বাস করার ফলে আল্লা থেকে দুরে সড়ে যাচ্ছে সেদিকেও খেয়াল দেওয়ার চিন্তা মাথায় আসে না।
আল্লা রাছুল সা.কে “সমগ্র মানবজাতির জন্যে সুসংবাদাতা ও সতর্ককারী রূপে পাঠিয়েছি” কিন্তু শুধুই তা নয় বরং যারা রাছুল সা. এর উপর পূর্ণ আস্থার সহিত বিশ্বাস রাখে তাদের জন্যই পাঠিয়েছেন তা আল্লা সূরা আম্বিয়ায় উল্লেখ করেই দিয়েছেন। “আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি।”-২১:১০৭#। বিশ্বাসী বলতেই যে ইমানদার তা নয়। মুখে বললেই বিশ্বাসী হওয়া যায় না। আল্লা পবিত্র কোরআনে বলেছেন “মানুষের মধ্যে কিছু লোক এমন রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান এনেছি অথচ আদৌ তারা ঈমানদার নয়।”-২:৮। রাছুল সা.কে যারা কুলশযুক্ত বিশ্বাস করে তারাই বরং বিভ্রান্ত। আমি যদি এক বাক্যে বলি তাদের মুনাফিক ছাড়া কিছুই বলতে পারি না। আফসোস হয় সে সমস্ত লোকদের প্রতি এরাও নাকি আবার সাফায়্যাতের জন্য রাছুল সা. এর সামনে দাড়াবে। এরাই রুকু সেজদাকারী দল। তাদের বিশ্বাস আল্লার প্রতি নয় বরং বিভ্রান্ত লেবাসি আলেমদের প্রতি। শেষ পর্বে কোরানের আয়াতটি তুলে ধরবো যেটা দিয়ে বিভ্রান্ত আলেম সাহেবগন রাছুল সা. এর সিনাচাক বুঝাতে ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন। আপনাদের বিবেচনার জন্য আমি লিখতে চেষ্টা করছি আশা করি আগামী পর্বে ইতি টানতে চেষ্টা করবো।
পরবর্তি পর্বে চোখ রাখুন———-চলবে
 
			