জামানার মুজাদ্দেদ না চিনলে জাহেল হালে মৃত্যু- শেষ পর্ব #৪
===============================================
ফকির উয়ায়ছী:
মুজাদ্দিদ প্রসঙ্গে সবচেয়ে জরুরী কথা না বললেই নয়। ইমাম মাহদী যেহেতু হযরত আলী আ. এর বংশধর সেহেতু সঠিক মুজাদ্দিদ যারা হবেন তারা ইমামতের প্রধান শেরেখোদা মওলা আলী আ. এর সিলসিলার অবশ্যই হতে হবে। যাদের সিলসিলার গোড়ার দিকে মওলা আলীর নাম থাকবে না তারা মুজাদ্দিদ দ্বাবী করলেও সেটা হবে ইবলিশের সিলসিলার মুজাদ্দিদ। সবচেয়ে আশ্চর্য্য লাগে যখন দেখা যায় একই পিরের একাধিক ছেলে সকলেই আখেরী জামানার মুজাদ্দিদ ব্যবহার করে নামের সাথে! এরা কি সত্যই মুজাদ্দিদ শব্দটির অর্থ পরিষ্কার ভাবে বুঝে না? বাংলাদেশে এমন পিরও আছে সে পির সাহেবের পাচজন ছেলে সন্তান। পাচ জেলায় অঢেল সম্পদের মালিক। গরীব খেত কামলাদের রক্ত চোষন করতেও বাদ রাখছে না। প্রতি মনে (৪০কেজিতে) ১কেজি ফসল যাকাত উঠাচ্ছে পির সাহেবের জন্য মুজাদ্দিদ সাহেবগন এই শিক্ষাই দিচ্ছেন। পির সাহেবদের মনোনীত এজেন্টরা গিয়ে গ্রাম থেকে কালেশন করে নিয়ে আসে প্রতি ফসলের সিজনে। এই পির সাহেবদের বাউন্ডারী সীমানা প্রাচীর ধরে হাটলে এক ঘন্টা হেটেও শেষ করা যাবে না। তাদের চোখের ক্ষুধাই শেষ হয় নাই। এমন লোকগুলি সকলেই আখেরী জামানার মুজাদ্দেদ। পাচ আপন ভাই সকলেই জামানার আখেরী মুজাদ্দিদ সেটা কিভাবে সম্ভব হয়? একই সময়ে একাধিক মুজাদ্দিদ হয় কি করে? তাও আবার একই গোত্রের মধ্যে! অর্বাচীন মুরিদ দলের মধ্যে কেন হয় না এই প্রশ্ন? এদের দলে অনেক পুথিগত বিদ্যান (শিক্ষিত বিুদ্ধিপ্রতিবন্ধি) লোকও দেখা যায়। হ্যাঁ! জামানার শেষ মুজাদ্দিদ! তাদের মৃত্যুর খবরই তাদের জানে নাই। জামানার শেষ লিখে রাখে নামের শেষে। কিছু কিছু পিরের নামের সাথে দেখা যায় মা.আ অর্থাৎ মাহদী আ.। মাহাদী আ. এর সময় কালে দাজ্জাল এর আগমন ঘটবে। বর্তমান কিছু কিছু পিরদের কর্মকান্ড দেখে এদের দাজ্জাল বলেই বিবেচনা করা যায়।
১৪:৪# “আমি সব পয়গম্বরকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদেরকে পরিষ্কার বোঝাতে পারে।”
উপরোক্ত আয়াতটি দিয়ে কিছু কিছু ভ্রান্ত পির সাহেবগন বাংলা ভাষার জন্য পয়গম্বর/নবী/রাছুল দ্বাবী করে বসছেন। এমন পিরদের কিছু নির্ধারিত এজেন্ট থাকে বাবায় যা বলবে সমস্বরে চিৎকার দিবে সেটা যেনো আল্লা নিজেই বলছেন। মুরিদদের এমনই ব্রেনওয়াস করেছেন যে তারা পিরের নামে কলেমা পড়ে চলছেন মুহাম্মদ সা. এর নাম বর্জন করে। যেমন “লা ইলাহা——–জদু/মধু/কদুবাবা রাছুলুল্লাহ”। একটা কথা মনে রাখা জরুরী। আমরা বাংলা ভাষাভাষির মানুষ হলেও আমরা উম্মতে মুহাম্মদি। মুহাম্মদ সা. এর ভাষাই আমাদের ভাষা হওয়া উচিৎ। আল্লা শেষ নবী বলে ঘোষনা করেছেন মুহাম্মদ সা.কেই। কাজেই বাংলা নবী/রাছুল খুজবে অর্বাচীনেরাই। আর এদের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাবে বিভ্রান্ত পিরেরাই। আল্লা কোরানে উল্লেখ করে দিয়েছেন:
৪২:৭# “এমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন।”
উপরোক্ত ৪২:৭ নং আয়াত দেখুন যারা বাংলা ভাষাভাষীর জন্য নবী/রাছুল তালাশ করেন। আর নিন্মে উল্লেখকৃত ২৮:৫৯ আয়াত দেখে আবার মনে করেন বাংলা ভাষার জন্য নবি পাঠাবেন তবে জেনে রাখুন। মুহাম্মদ সা. আমাদের শেষ নবী। এই আয়াত রাছুল সা. এবং তাঁর উম্মতদের জন্যই বলা হয়েছে।
২৮:৫৯# “আপনার পালনকর্তা জনপদসমূহকে ধ্বংস করেন না, যে পর্যন্ত তার কেন্দ্রস্থলে রসূল প্রেরণ না করেন, যিনি তাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করেন।” রাছুল সা. এর আগেও এমন আয়াত নাজিল করেছিলো মুসা নবীর ক্ষেত্রেও।
১৪:৫#“আমি মূসাকে নিদর্শনাবলী সহ প্রেরণ করেছিলাম যে, স্বজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে আনয়ন এবং তাদেরকে আল্লাহর দিনসমূহ স্মরণ করান।”
আল্লাও সূরা আরাফের ১৭৯ আয়াতের মাঝে উল্লেখ করে দিয়েছেন। আমি অধিকাংশ জীন এবং ইনসান দিয়ে জাহান্নাম পূর্ণ করবেন। তারপর অন্য একটি আয়াতে আল্লা রাছুল সা. বলেছেন দেখা যায়:
২৩:৫৪# “তাদের কিছু কালের জন্যে তাদের অজ্ঞানতায় নিমজ্জত থাকতে দিন।”
মুহাম্মদ সা. এর উম্মতদের আরবী শিখানোর জন্যই আলেম সাহেবগন প্রতি হরফে ১০ নেকির লোভ ধরিয়েছেন। তাও যাতে মুহাম্মদ সা. এর উম্মতগন আরবী পড়তে আগ্রহী হয়।
