জামানার মুজাদ্দেদ না চিনলে জাহেল হালে মৃত্যু- পর্ব #১
========================================
ফকির উয়ায়ছী:
আল্লার কোরানে বলেছেন: “সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকো না। সত্যের আবরনে মিথ্যার আশ্রয় গ্রহন করো না।” কাজেই মিথ্যা সব সময়ই ঘৃনাভরে পরিত্যাজ্য। নিজদেরকে উৎকৃষ্ট প্রমানের দূরাশায় নয়। সত্য প্রকাশের জন্যই যতটুকু সম্ভব তুলে ধরার চেষ্টা করি। সে সাথে অনুরোধ করি আমার কথায় বিশ্বাস না করে সত্য যাচাই করুণ। তবে নিজেরাই বিপথগামীতা থেকে রক্ষা পাবেন। খেলাফতি প্রাপ্তির পর থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানের থেকে যতটুটু সম্ভব জ্ঞানের সদকা সরূপ প্রচার করছি। আল্লার ক্ষমা পাওয়ার আশায়।বড় পীর হওয়ার বাসনায় নাই। যারা বড় পির হওয়ার আশা করেন তারা হয়তো বড় হয় তারা আল্লার সন্তুষ্টির ধার তারা ধারেন না। অথচ আল্লা সন্তুষ্টিই কামনাই প্রকৃত উয়ায়ছীদের একমাত্র কাম্য। আল্লা যে সবকিছুই অবগত এবং প্রত্যেকের “আমল নামা”-ই যে তার কাছে আছে; সে কথা বিভ্রান্তরা হয় বিশ্বাস করেন না বা করার প্রয়োজনীয়তার কথা তারা আমলে নেন না। তাই আল্লার ভয় তাদের অন্তরে একটুও নাই।
এসব বিভ্রান্ত চিন্তা এবং কথাবার্তার কারণে কেউ বা “মুজাদ্দিদ”/ “আখেরী জামানার মুজাদ্দিদ” কেউ বা ‘রাসুল’ আখ্যায়িত হচ্ছেন। মুহাম্মদ ছাড়া আর কাউকেই আল্লা রাছুলুল্লাহ বলেন নাই। তাই আমরাও বলব না। যারা বলে, তাদেরকে মানসীক রোগী বা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বলাই সমীচীন।
যারা ‘মুজাদ্দিদ’ আখ্যা দিচ্ছেন তাদেরকে দোষ দিব না। এরকম ‘মুজাদ্দিদ’ আখ্যা অনেককেই তাদের ভক্ত অনুরক্তরা দিয়েছেন। তবে এটা অধিক দিন টিকবে না। টিকার কথাও নয়। ‘মুজাদ্দিদ’কাকে বলা যায় বা কাকে বলা উচিৎ, সেটা না জেনেই একজনকে আবেগের বসে ‘মুজাদ্দিদ’আখ্যা দিলে সেটাত সাময়ীক আবেগ প্রশমিত হয়ে সত্য সামনে এলেই সেটা শেষ হবে। হাদীস মতে এবং উয়ায়ছী তরীকতের বুজর্গানের মতে কি কি গুন থাকলে মুজাদ্দিদ হয় তার বিশ্লেষনেই তুলে দিবো পাঠকগনের বিবেচনার আশায়।
কাউকে হেয় করার জন্য বা কারো অন্তরে আঘাত দেওয়ার জন্য এটা করছিনা। উয়ায়ছী তরীকত সম্পর্কে যাতে সাধারন মানুষের, বিশেষ করে উয়ায়ছী তরীকতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তিবর্গের মধ্যে এসব বিভ্রান্ত চিন্তার প্রভাবে অশ্রদ্ধা না জন্মে সেজন্যই সামান্য প্রচেষ্টা। আরো একটি কারণও আছে। ভবিষ্যৎ উয়ায়ছীগন যাতে আমাদেরকে দোষী করতে না পারেন। যে এসব বিভ্রান্তিকর কথাবার্তার প্রতিবাদ কেউ করে নাই কেন আমাদের সময়? বা বিভ্রান্ত চিন্তা দ্বারা সরল মানুষকে বিভ্রান্ত হওয়ার কবল থেকে রক্ষা করার কোন চেষ্টাই করা হয় নাই? আমাদের খাজেগানে খাজা উয়ায়ছ কারণী রা. ছিলেন সত্যের দিশারী। তাঁর গোলামদের একজন নগন্য গোলাম হিসাবে এটা আমাদের সকলেরই নৈতিক দায়ীত্ব হলো সত্য উদ্ঘাটন করে সাধারনের সামনে তুলে ধরা। সত্য যদিও তিক্ত তবু সেই তিক্ত জিনিষকেই সকলের গলাধকরন করা উচিৎ। তার কারণ ওই তিক্ত জিনিষের ফল অত্যন্ত মিষ্ট। এটা আমার কথা নয়। মওলা আলী আ. এর কথা। এই লেখা কাউকে আঘাত করার জন্য নয়। উয়ায়ছী তরিকতের প্রতি মানুষের মনে যাতে কোন প্রকার অশ্রদ্ধা না জন্মে সেই কারনেই লেখার চেষ্টা। আমার এই সত্য উপস্থাপনের যারা জাগতিক দুনিয়াতে আর্থিকভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হবেন। তাদের জন্য আল্লার কাছে ক্ষমা চাইবো না এমনকি দু:খও করবো না। তবে একটি কথা, সত্য উদঘাটন করতে গিয়ে যদি আমি কোন অনিচ্ছাকৃত ভুল করে থাকি তবে সেটা আমাকে ধরিয়ে দিলে দলিল সহ মন্তব্য করলে খুশী হব।
আমার মুরশিদ কিবলাজান বলেছেন “আল্লার বানী আমি যথাসাধ্য প্রচার করেছি।”এবং আমিও দেখেছি তিঁনি মানুষকে সতর্ক করার জন্য অনেক চেষ্টাই করেছেন। আমিও তার সেই কথাকেই আমার জীবনের ব্রত হিসাবে গ্রহন করেছি। সে কারণে তরিকতের প্রচার প্রসারের জন্য বা নিজের সুনাম বৃদ্ধির জন্য কোন পরিচয় রাখিনি। এমনকি আমার কাছে আসতেও চাইলেও নিষেধ করি। ধর্মের মধ্যে কোরান- হাদীসের সাথে গরমিল মনগড়া কোন ধারনার বশবর্তী হয়ে কেউ কিছু প্রচার করলে প্রকৃত উয়ায়ছীরা চুপ করে সেটা গ্রহন করতে পারে না। কারণ মিথ্যা বিরোধীতা না করলে আল্লার শাস্তি দিতে পারেন এই ভয়ে।
————-চলবে
বি.দ্র: এক পোষ্টে লিখলে পোষ্ট অনেক বড় হয়ে যাবে। কাজেই কয়েকটা পর্বে লিখতে চেষ্টা করবো।
≫≫≫≫≫≫≫≫≫≫≫≫≫≫≪≪≪≪≪≪≪≪≪≪≪≪≪≪≪≪
প্রচারনা শুধু মাত্র:
দরবার এ উয়ায়ছী
তিতপল্লাহ, জামালপুর
ØØ আমরা অন্য কোন খানকা/দরবারের সাথে সম্পৃক্ত নই।ØØ
