রাছুল সা. এর সঠিক অনুসারী এবং আহলে বায়াত অনুসারীদের স্মরণার্থে।
০২রা অক্টোবর রোজ শুক্রবার ২০১৫ ইংরেজি, ১৮ই জিলহাজ্ব আরবী অর্থাৎ আজ। সেই ঐতিহাসিক দিন আল্লা যেদিন তার প্রিয় হাবীবের প্রতি হুকুমের শুরে নাজিল করেছিলেন অসন্তুষ্ট বলেই বুঝা যায়। ৫:৬৭#“হে রসূল, পৌছে দিন আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে। আর যদি আপনি এরূপ না করেন, তবে আপনি তাঁর পয়গাম কিছুই পৌছালেন না। আল্লাহ আপনাকে মানুষের কাছ থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।” এই আয়াতটি নাজিল হওয়া্র সাথে সাথেই রাছুল সা. সকল হাজীদের ডেকে এক জায়গায় সমবেত করেন এবং রাছুল সা. ভাষন দিলেন যে ভাষন বিদায় ভাষন বা নবীজির শেষ ভাষন নামে পরিচিত।
এমনকি সেই দিনেই সূরা মায়িদার কোরআনের শেষ আয়াতটিও আল্লা নাজিল করেন রাছুল সা. এর প্রতি ৫:৩# “আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।” ১০ম হিজরির ১৮ই জিলহাজ্ব ঐতিহাসিক বিদায় হজ্ব সমাপনান্তে রাছুল সা. দ্বীন (ইসলাম) পূর্ণতার ঘোষণা দেওয়ার পর গাদিরে খুম নামক স্থানে আল্লার হুকুমে হযরত আলী ইবনে আবি তালিবকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করে অনুষ্ঠানটির সমাপন করেন যা ইসলামের ইতিহাসে ইমামত বা বেলায়েত দিবস বলে পরিচিত। সেখানেই রাছুল সা. মওলা আলী ইবনে আবি তালিব আ. এর ডান বাহু নিজের বাম হাত দিয়ে লক্ষ জনতার সামনে উচু করে ধরে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে ঘোষণা করেন, “আমি যার মাওলা এই আলীও তার মাওলা”।-হাদিস
রাছুল সা. এর শেষ ঐতিহাসিক ভাষনটি ইয়াজিদি পথভ্রষ্ট এবং রাছুল সা. কতৃক খারেজি নামধারী মুসলমানদের দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে। কারণ এই শেষ ভাষন খারেজিদের দল পরিবর্তন করে তাদের মন মত হাদিস বানিয়ে নিয়ে জোড় প্রচারনা করেই চলছেন। তাই মওলা আলী আ. শান মান মর্যাদা সম্পন্ন যত হাদিস এবং ইতিহাস ইসলামে ছিল আছে তা খারেজিরা কালক্রমে চিরতরে মুছে ফেলার পায়তার বহুকাল পূর্ব থেকেই করে আসছে। অল্প সংখ্যক কিছু মানুষের জন্য আমরা সঠিক ইতিহাস আজও জানতে পারছি। সেই তাড়না থেকেই জানানোর কিছু প্রয়াস করছি মাত্র। আপনারা যারা, ইবলিশ শয়তান সে সাথে খারেজিদের প্ররোচনা থেকে রেহাই পেয়েছেন তারা একে অপরকে জানাতে সহায়তা করবেন যেমনটি রাছুল সা. বলেছিলেন আপনারাও প্রকৃত অনুসারী হিসাবে তা মেনে চলবেন। রাছুল সা. এর ভাষনে এও উল্লেখ ছিল তোমাদের মধ্যে যারা অনুপস্থিত আছে তোমরা তাদের জানিয়ে দিও। অর্থাৎ রাছুল সা. বলা হাদিসটি “আমি যার মাওলা এই আলীও তার মাওলা”।
আপনারা রাছুল সা. সে হুকুম মানুষের মাঝে পৌচ্ছাতে সহায়তা করুন। ইয়াজীদ পন্থি মুসলমানদের অন্তরে যেন আল্লা রাছুল সা. এর ভয় হয় সে সাথে যেন মনে হয় আখেরাতে কথা এবং মনে হয় যেন বেহেস্তবাসী নর-নারীগনের সর্দারদের কথা। সে সাথে তারা যেন উপলব্ধি করতে পারে তারা যাদের অনুসরণ করে চলছে তাদের অনুসরণীয়দের কর্ম এবং পরিনতির কথা। এবং তাদের নিজেদের পরিনতির কথা। অধিকাংশ মানুষ যদিও জাহান্নামী তথ্যাপিও তাদের মাঝে একজনও যদি আপনি সতর্ক করতে পারেন মনে রাখবেন সেটাই আপনার জন্য সৃষ্টির কৃতজ্ঞতা সরূপ আল্লার কাছে পাওনা থাকবেন এবং আল্লার প্রতিনিধিত্ত্বও করা হবে। একটি হাদিস এখানে উল্লেখ করতেই হচ্ছে। হাদিসটি এমন “আমার সাহাবাগন আকাশের নক্ষত্র সরূপ তাদের একজনকে অনুসরণ করলেই নাজাত পাওয়া যাবে”। যে বা যারা ভুল করে জাহান্নামী কোন সাহাবার অনুসরন করে তবে যে জাহান্নাম অবধারিতই মিলবে। রাছুল সা. এর সহবত প্রাপ্তরা যেহেতু সাহাবা সেহেতু রাছুল সা. সহবত প্রাপ্ত সব সাহাবাই সঠিক হওয়ার কোন কারণ নাই। বোখারী শরীফের হাউজে কাউসার অধ্যায় পঠনেই স্পষ্ট হয়ে যায়। কাজেই বিনীত অনুরোধ করছি সময় থাকতে সঠিক ইসলাম পালনের জন্য এবং কাল কিয়ামতের ময়দানে নাজাদ পাওয়ার জন্য সঠিক অনুসরণীয় ব্যক্তি যাচাই বাছাই করে নেওয়া উচিৎ।
 
			