এজিদের রক্ত বংশের অনুসারীদের খুশি উৎযাপনের মাস মহরম। পর্ব-১
======================================================
ফকির উয়ায়ছী:
আগামী ২১লা সেপ্টেম্বর শুক্রবার সারা দেশে পবিত্র আশুরা অর্থাৎ ১০ই মহরম পালন করবে। কোরানের একটি আয়াত এবং হাদিসের কথা মনে করিয়েই শুরু করছি। পবিত্র কোরানে উল্লেখ আছে নবী মুমিনদের নিকট নিজ প্রানের চেয়েও অধিক প্রিয়। এবং হাদিস শরীফে রাছুল সা. বলেছিলেন “রাছুল সা.কে যতক্ষন প্রানের চেয়েও প্রিয় মনে করতে না পারবে ততক্ষন সে ব্যক্তি মুসলমান হতে পারবে না।”- হাদিস। এমনকি আর আমার মতে রাছুল সা. এর পছন্দই উম্মতে মুহাম্মদির পছন্দ হওয়া বাঞ্ছনীয়। আমাদের দেশে কতই না শোক দিবস পালন হয়। মিডিয়ার বদৌলতে মানুষের কান ঝালাপালা হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশ ৯০ শতাংশ মুসলিম অধিবাসী হওয়া সত্ত্বেও মুসলমানদের প্রানের চেয়েও প্রিয় নবী সা. এর বংশ ইয়াজিদের হাতে নির্মমভাবে হত্যা হওয়ার পরও আমাদের দেশের মিডিয়ার লোকজন সেটা প্রচারে বিরত থাকে। কি করে পারে সেটা বোধগম্য নয়? পুরা অগাস্ট মাস জুড়েই টিভি পর্দায় কালো পতাকা দেখা যায়। তাতে কোন কোন দলের মানুষের আপত্তি দেখা যায় কিন্তু মহরম শোকের মাস হিসাবে শোকের চিহ্ন ব্যবহারে কোন মুসলমানগন বিরোধী করবে না। একমাত্র ইয়াজিদের রক্ত বংশের অনুসারী ছাড়া। তারা হয়তো ভুলেই গেছেন যে তারাও যখনই আল্লার দরবারে হাত উঠায় বেহেস্তের জন্য দোয়া করে। কিন্তু বেহেস্তের সর্দার এবং তিঁনার ৬ মাসের মাসুম শিশু আলী আজগর সহ গোটা পরিবারের ৭২জনকে যারা হত্যা করেছে তাদের (হত্যাকারীদের) কথা বেশী বেশী করে মানুষদের জানানো দরকার। এই ঘৃনীত লেবাসধারী দাড়ি, টুপি, জুব্বা পরিহিত নামাজী নামধারী মুসলমান ইতিহাসের জঘন্য হত্যাকারীদের নাম যেন প্রতিটি মুসলমানের জানা থাকে সে ব্যবস্থা করা উচিৎ। এই বরবর পাষন্ড হত্যাকারীর দল বলেছিলো তারাতাড়ি হুসাইনের কল্লা কাইটা আনো আসরের নামায যেন কাজা না হয়!
ঐ জাহেলের দল চিন্তাও করে নাই নামায পড়ে তাড়া কোন বেহেস্তের আশায়? হ্যায়রে নামাজী। চিন্তায় আসে নাই বেহেস্তের সর্দারের ওখানে স্থান মিলবে কিনা? ঐ জাহেলদের অন্যায় লোক সমাজের সামনে তুলে না ধরে গোপন রাখলে বেহেস্তের সর্দারদের রৌশানল থেকে রেহাই পাবেন না। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১০ই মহরম, এই দিনটি যে কি দিবস হিসাবে পালন করা দরকার বা এই দিনটিতে কি করণীয়। এমনকি কি হিসাবে পালন করা হচ্ছে? সে বিষয়ে অধিকাংশ মানুষেরই জানা নাই। যারা এই দিনটি সম্পর্কে অবগত তাদের মধ্যে কেউ কেউ শোক পালনের উদ্দেশ্যে রোযা রাখে মাছ, গোস্ত খায় না। খায় শুধু দেহের চাহিদা পুরনের জন্য আমিশ বিহীন খাদ্য। আবার একদল আছে যারা রোযা রাখে এবং ভাল ভাল খাবার খেয়ে খুশী উৎযাপন করেন। একদল আছে যারা মহরম মাসের শুরু থেকেই রোযা শুরু করে মাছ গোস্ত খায় না। কিন্তু ১০ই মহরম এর দিনই গরু/ খাশি দিয়ে অনুষ্ঠান করে। আর এক দল আছে তারা দাত পর্যন্ত মাজে না। আর এক দল আছে বিধর্মীদের ন্যায় ঘোড়ার পায়ে দুধ ঢালে। ঢোল পিটিয়ে শোক পালন করে। ঢোলের বাড়িতে যারা শোক পালন করে কিন্তু তাদের পরিবারের নিকট আত্মীয় মারা গেলে ঢোল তারা পিটিয়ে শোক পালন করে না। হ্যায় কোনটা যে সঠিক আগত দিনের ভবিষ্যত বাসীরা কি করে বুঝবে কি করে? সেটা তাদের বিবেচনা করবে চিন্তা করবে আশা নিয়েই লিখছি।
নবীর প্রকৃত উম্মত যারা তারা কিভাবে এই দিনে খুশির দিন হিসাবে পালন করে সেটা বড় নেক্কারজনক বিষয়? কারণ সকলেই জানেন এই দিনেই রাছুল সা. এর চেহারা সাদৃশ্য তিঁনার প্রানপ্রিয় নাতী রাছুল সা. যাদের সন্তান বলে সব সময়ই ডাকতেন। বেহেস্তবাসী পুরুষগনদের সর্দার হযরত হুসাইন আ. এর কল্লা কেটে হত্যা করেছে নামধারী দাড়ি, টুপি, জুব্বা ওয়ালা নামাযী মুসলমানের দল। এই দলের যারা অনুসরনকারী তারা তো খুশি বানাতেই পারেন। এমন কি তাদের নেতারাও ১০ই মহরম কারবালার ময়দানে হুসাইন আ. এর মস্তক নিয়ে খেলাতেই মত্ত ছিলো।
———-চলবে
 
			