ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের সাথে ভেজাল জড়িৎ হয়েগেছে- ৩য় পর্ব
=================================================
ফকির উয়ায়ছী:
৩ নং রোযা:
এই রোযা সম্পর্কে আল্লা পবিত্র কোরআনে বলেছেন সে আয়াতগুলি পড়ে কে চিন্তা করি। অনেকই রোযা করে যাচ্ছি পূর্ব পুরুষদের থেকে প্রচলিত আছে বলে। আজ তুলে ধরছি কোরানের আয়াতগুলি নিন্মে:
২:১৮৩# “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার।”
২:১৮৪# “গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে। যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণ কর হয়। আর যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার।”
২:১৮৫# “রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী।”
রোযা করার ব্যপারে কতটুকু কঠিন আদেশ আল্লার। রোযা করতেই হবে ক্ষমা নাই। অপারগ হলে কাফফারা আদায় করতে হবে। যে বিষয়টি আমাকে চিন্তায় ফেলে সেটি আপনাদের চিন্তায় আসে কিনা সেটার জন্যই লেখা। ২:১৮৫ আয়াতে আল্লা বলেছেন রমযান মাসে আল্লা কোরান নাজিল করেছেন। আমরা অধিকাংশরাই জানি প্রায় ২৩ বৎসর ৬ মাস ব্যাপিয়া কোরান নাজিল হয়েছে। কিন্তু এই আয়াতে বুঝা যাচ্ছে কোরান নাজিল হয়েছে রমযান মাসে। এটা কোন কোরআনের কথা বলা হয়েছে! আমি পাগল বলেই হয়তো এমনটা মাথায় আসছে বাদ দিন এই প্রসঙ্গ। ইসলামের দুটি পক্ষের শরিয়তের অনুসারীগন রোযা পালন করে ভীন্ন ভীন্ন ভাবে
স্ত্রী সহবাস বর্জন আর উপবাসে যদি রোযা হতো,
পশু পাখি আটক রেখেও রোযা করানো যেত।
ফকির উয়ায়ছী কয় রোযার হাকিকত বুঝো.
রোযার কর্ম পূর্ণ করেই আল্লার সন্তুষ্টি খুজ।
আর মারেফতের অনুসারীদের মধ্যে কিছু সংখ্যক বলে না খাইয়া উপোশে রোযা হয় না। রোযা করতে হবে রিপু ত্যাগ করে। সঠিকই বলে তারা। তবে আল্লার হুকুম পালন সহ রিপু দমন করতে পারলেই রোযা হবে।
রাসূল সা. এর হাদিস অনুযায়ী যে ছয়টি জিনিষ ত্যাগ করার কথা তা যদি শুধু এক মাস ধরে রাখার জন্য করা হয়। সেটা অনাহারী বা উপোশ থাকা ব্যতীত কিছুই নয়। সাড়া জীবনের জন্য কুচিন্তা এবং কুকর্ম হইতে নিজকে বিরত রাখতে হবে। পঞ্চ ইন্দ্রিয়কে নিয়ন্ত্রন করে অবৈধ কাজ থেকে বিরত রাখতে পারলে রোযার স্বার্থকতা আসবে। ক) যেমন চুক্ষ দ্বারা অবৈধ কিছু দেখবোনা। খ) কান দ্বারা অবৈধ কিছু শুনবো না। গ) নাক দ্বারা অবৈধ ঘ্রান গ্রহন করবো না। ঘ) জিবহা দ্বারা অবৈধ স্বাধ গ্রহন করবোনা এবং অবৈধ কথা বলবো না। ঙ) হাত দ্বারা অবৈধ জিনিষ ধরবোনা এবং চ) অবৈধ চিন্তা চেতনা করবোনা। তাহলেই রোযার পরিপূর্ণতা আসবে। সংস্কারের সুবিধা থাকলে বলার ইচ্ছা রাখি অবৈধ উপার্জনের অর্থ ঘর পরিবারে ব্যবহার হলে রোযা রাখা নিষেধ।
আমার কথা যদি সংস্কার হওয়ার সুযোগ থাকতো। আলেম সাহেবদের প্রতি জোর আদেশ দিতাম রমযান শুরু হওয়ার আগ থেকেই ঘোষনা করুন। অবৈধ টাকা রোজগারকারীরা যদি হারাম টাকা উপার্জন ব্যতীত সংসার চালাতে না পারেন তবে রোযা নামক উপোশ করার দরকার নাই। সমাজের চোখে হারাম ভক্ষনকারীরা চিহ্নিত হয়ে যেতো। হুজুর সাহেবগন এমন হাদিস বলা শুরু করে তাতে হারাম খাওয়ায় তোরজোর বারে। আলেম সাহেবগন ফতোয়া দেন রোজার মাসের খরচের কোন হিসাব নাই। খরচ যত বেশী সোয়াব তত বেশী। অথচ রাছুল সা. বলেছেন অপচয়কারী শয়তানের ভাই।
———–চলবে
