ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের সাথে ভেজাল জড়িৎ হয়েগেছে -২য় পর্ব
================================================
ফকির উয়ায়ছী:
২ নং নামায:
আমরা মুসলমান কোরান হাসিদ সর্বাগ্রে একটি হাদিস দিয়েই শুরু করছি। মুসনাদে আহমদ হাদিস পুস্তকে উল্লেখিত শক্তিশালী হাদিস “উম্মু দারদা রা. বলেন, একদিন আবূদ দারদা রা. রাগাম্বিত অবস্থায় ঘরে প্রবেশ করলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কে আপনাকে রাগালো? তিনি বললেন “আমি এদের মধ্যে (তাঁর সমসাময়িক মানুষদের মধ্যে) মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোন নিয়ম-রীতি দেখতে পাচ্ছি না। শুধু এতটুকু দেখতে পাচ্ছি যে, এরা জামাতে নামায আদায় করে।”
আলেম সাহেবদের বর্ণনা মতে ৭০ গুন সোয়াব হয় জামাতে নামায আদায় করলে। কিন্তু যখন নামাযে দাড়াই আমাদের মাথায় নানান চিন্তা এসে ভর করে এমনকি তখনও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করতে পারি না। ঈমাম সাহেবের উপর ভর করে আমার সোয়াব হবে সেটা মোটেও ঠিক নয়। কারণ ঈমাম সাহেবের নামায হলে তবেই মুসল্লিদের নামায হবে। তাও আবার যদি মুসুল্লিগন নিজের মন মস্তিষ্ক ঠিক রাখতে পারেন। নচেত সোয়াব তো হবেই না বরং লোক দেখানো নামাযী হয়ে আল্লার সাজা পেতে হবে। কেউ যদি মনে করেন আমি নামায আদায় বা মসজিদে যেতে নিরুৎসাহিত করছি সেটা ভুল করবেন। আমি শুধু বলতে চাই মন পবিত্র করে আল্লার সামনে দাড়াতে হবে। সে চেষ্টাই আমাদের করা উচিৎ। মসজিদে যারা আসছেন তাদের তো সতর্ক করার দ্বায়ীত্ত্ব বিজ্ঞ আলেমগন নিতেই পারেন। তা তো আজতক বলতে শুনি নাই। তিনি তো বলতে পারেন নামাযে দাড়ানোর আগে তওবা পড়ে নিন। সব চিন্তা বাদ দিয়ে নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে দাড়াচ্ছেন শুধু আল্লাকে সেজদা দেওয়ার জন্য। আল্লার সতর্কবাণী স্মরণ রেখে নামাযে দাড়ান। ৪:১৪২# “ বস্তুতঃ তারা যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন দাঁড়ায়, একান্ত শিথিল ভাবে লোক দেখানোর জন্য। আর তারা আল্লাহকে অল্পই স্মরণ করে।” এই আয়াতটা মসজিদের ঈমামগন প্রত্যহ একাধিকবার মনে করে দেওয়া জরুরী। তা আলেম সাহেবগন করে না।
“আল্লার সামনে দাড়িয়েছি যদি থাকে মুসুল্লির অন্তরে
জুতা চোরের খেয়াল আসে কি করে আপনার মনে??”
নামাযের জন্য মসজিদে লক্ষ করলেই দেখা যায় নিজের জুতা জোড়া রেখেছে একদম নজরের সামনে। সেজদা দিলে ঠিক মাথায় লাগে লাগে অবস্থায় রাখা হয়। আবার বলছেন আল্লার পায়ে সেজদা দেই। নিজের জুতা রাখছেন আল্লার পা রাখার জায়গা কোথায় চিন্তা করে দেখছেন? সবই তো কাল্পণীক কথা বার্তা বলেই চলছেন।
ঈমাম সাহেবগন নানান মতে বিশ্বাসী। কেউ কেউ বলে নামাযে নিয়ত করাও জরুরী নয়। আর নামাযে যখন এক ঈমামের একতেদা করে পিছনে মুসুল্লিগন যার যার নিজ ইচ্ছায় নামায আদায় করছেন। একেক জন নিজ নিজ মাযহাবের বিশ্বাস অনুযায়ী হাত বাধছেন। রেফাদােইন করছেন। উচ্চ স্বরে আমীন বলে উঠছেন। আমীন অর্থাৎ তা্দিই হোউক। ঈমাম তো কিছু বলেন নাই। আপনী পিছন থেকে কেন বলছেন তাই হোউক? কেন ভুলে যাচ্ছেন ঈমামের একত্তেদার নিয়ত করছেন। এখানে আপনী মুকতাদী। আপনার ইচ্ছার কোন মূল্য নাই। নিজ নিজ ইচ্ছা মতনই যদি কর্ম করেন তবে একতেদা করে ফায়দা কি? কিভাবে হবে আপনার সোয়াব? ঈমামের পিছনে একতেদা করার পর আপনার কোন ইচ্ছা থাকতে পারে না।
আমি যদি সংস্কারের সুযোগ পেতাম গেটে লিখে দিতাম জামাতে দাড়িয়ে ঈমামের অনুসরণ অনুকরন ব্যতীত অন্য কিছু করা নিষেধ। এবং সমজিদের বাউন্ডারী গেটে লিখে দিতাম অবৈধ পথে অর্থ উপার্জনকারী মসজিদে ঢুকা নিষেধ। অবশ্য এই কথা লিখলে ঈমাম মিলানোই কঠিন হবে। কারণ আল্লা কোরআনে নির্দেশ করেছেন ৩৬:২১# “অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না।” বিনিময় (টাকা) গ্রহন ছাড়া তো ঈমাম পাওয়া বড় দায়। যে কয়জনই লোক মসজিদে ঢুকার যোগ্যতা থাকবে তাদের মধ্য থেকেই একজন ঈমামতি করলে সেটা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী। কাজেই কোন সংস্কারকের মাথায় কবে এটা আসবে এই অপেক্ষায় থাকা ছাড়া বিকল্প নাই আমি নাদানের কথা শুনবে কে? ——–চলবে
