ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের সাথে ভেজাল জড়িৎ হয়েগেছে- ১ম পর্ব
================================================
ফকির উয়ায়ছী:
হালাল হারাম এই শব্দ দুটি মুসলমানদের খুবই পরিচিত শব্দ সকলেরই জানা। কিন্তু এই শব্দ ব্যবহার শুধু মানুষের মুখে মুখেই শুনা যায়। অবশ্য আমার দেশের বাইরে বিভিন্ন দ্রব্যের গায়ে লেখা থাকে ১০০% হালাল। তা দেখে মুসলমান মানুষ বুঝতে পারে এটা হালাল দ্রব্য মুসলমানদের জন্য। যদি আমার সংস্কারের সুযোগ থাকতো আমি লেখতে চেষ্টা করতাম “হালাল টাকায় কিনুন”।
ইসলামের ৫টি স্তম্ভের মধ্যে কলেমাটাকেও করছে বিতর্কিত বাকী চারটি ভেজাল দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে আছে অধিকাংশ মানুষের। আমার কথা হয়তো ভাল লাগছে না পুরো লেখাটি পড়লে দ্বিমত করার কতটুকু সুযোগ পাবেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।
১ নং কলেমা: কলেমা সম্পর্কে মানুষ বুঝে, নাবুঝে পড়ে যাচ্ছে। কোন ভেজাল ধরতে পারছেন না। যারাও বুঝে পড়ছেন ইয়াকীনের সাথে রাসূল সা. যেভাবে বলেছেন সেভাবে। বুঝে পাঠ করলে তো তার জন্য জান্নাতের সু-সংবাদ রয়েছেই আল্লার পক্ষ থেকে।
রাসূল সা. বলেছেন “মান কানা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ ইয়াকীনান ফাদাকাল্লাল জান্নাতা” অর্থাৎ যে ব্যক্তি একবার ইয়াকীন (বিশ্বাস) এর সহিত কলেমা পাঠ করবে তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দিতে। এই কালেমাটাকেও এখন কয়েকটা গোষ্ঠীর লোক সকল বলছেন কলেমা শুধুই “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এবং ‘মুহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ’ কলেমার অংশ নয়। এটা কি ভেজাল নয় বলে মনে করেন? অথচ আরশে মুয়াল্লায় সব নবীগনই নাকি এই কলেমা দেখেছেন! সমাজের সবচেয়ে বড় নামাযী দল তাবলীগ জামাত। যে জামাতের অস্তিত্য ছিলো না ১৯৪৭ সালের আগে। এই নব্য দল বলে তারা নাকি নবী ওয়ালা কাজ করে। এই জন্য তারাও কলেমা থেকে নবীর নাম বাদ দিয়েছে। নবীর নাম থাকলে তো নবী ওয়ালা কাজ করে বলা কঠিক। বর্তমান বড় বড় নামধারী আলেমদের অন্যতম তারেক মনোয়ার নবীদের ভুল সংসোধন করছেন বলেই মনে হয়। উম্মতে মুহাম্মদির কলেমায় আল্লার সাথে রাছুল সা. এর নাম বিধায় অধিকাংশ মসজিদ গুলির মিম্বরের ডান দিকে “আল্লা” এবং বাম দিকে “মুহাম্মদ” লেখা থাকে। বিজ্ঞ তারেক মনোয়ার ওয়াজে প্রচার করে চলছেন এটা নাকি শেরেক। হ্যায় আল্লা কোনটা যে বেদাৎ, শেরেক তা বুঝা বড় কঠিন। তোমার প্রিয় হাবীবকে নিয়ে গেছো প্রায় ১৫০০ বৎসর আগে। আজ এমন আলেম পাঠাইছো তোমার প্রিয় হাবীবের নাম তোমার পাশে থাকলে বেদাৎ শেরেক বলার জন্য। তবে আমার প্রশ্ন তুমি (আল্লা) কাকে দিয়ে আরশে মুয়াল্লায় এই বেদাৎ শেরেক প্রকাশ করেছিলে? বিজ্ঞ আলেমকে এই কথা জানান দাওয়া অতি জরুরী। না হয় যে এর অনুসারীরা জাহান্নামের অধিকারী হবে। মুহাম্মদ সা. এর উম্মতদের জন্য কলেমা হচ্ছে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাছুলুল্লাহ”। অর্থাৎ- নাই কোন ইলাহ এক আল্লা ছাড়া, মুহাম্মাদ সা. তাঁর প্রেরিত। আমার মনে একটা প্রশ্ন আসে আমার নবী নিজের নাম ধরে কেন এই কলেমা পড়বেন? আমরা পড়তে পারি আল্লা ছাড়া মাবুদ নাই; মুহাম্মদ সা. প্রেরিত। রাছুল সা.ও যদি একই বাক্য পঠন করেন তবে তো বেমানান লাগে আমার কাছে। নিশ্চয়ই রাছুল সা. এর জন্য কিছু ব্যতিক্রম ছিলো। এটা আপনাদের কারো মনে আসে কি?
————-পাচ পর্বের প্রথম পর্ব
