“ হাদিস দেখে ফকির উয়ায়ছী পেরেশান
আমি অধমকে পথ দেখাও মওলা সোবহান”
মেশকাত শরীফের একটি হাদিস নং- ৫৭৬৩
“হযরত ইবনে ওমর রা. হতে বর্ণত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেছেন, যখন তোমরা সকল লোককে দেখবে, যারা সাহাবীদেরকে গালমন্দ করে, তখন তোমরা বলবে, তোমাদের এই অসদাচরণের জন্য তোমাদের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ।”
এই হাদিসটা যে মানতে চাই। যখন ইসলামের ইতিহাস খুলে দেখতে পাই হযরত আয়েশা মওলা আলীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে জঙ্গে জামালের যুদ্ধে তখন মনটা কেমন জানি হয়ে যায়। অথচ আল্লার কোরআনে এবং নবীর নির্দেশ ছিল মহিলারা যেন ঘরে অবস্থান করে। হযরত আলীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারন সদাচরণের মধ্যে পরে বলে মেনে নিতে পানি না। ইসলামী ফাউন্ডেশন হইতে প্রকাশিত “বিদায়া ওয়ান নিহায়া” কিতাবের ৬ষ্ঠ খন্ডে জঙ্গে জামালের যুদ্ধের ঘটনায় মোটামুটি বর্ণনা পাওয়া যায়।
মেশকাত শরীফের একটি হাদিস নং- ৫৭৬৪
“হযরত ওমর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, আমার সাহাবীগন হল তারকাসদৃশ। অতএব তোমরা তাদের মধ্যে যে কোনজনের অনুকরণ করবে হেদায়েত লাভ করবে।”
এই হাদিসটা জানে না শিক্ষিত ইবাদতকারীদের মধ্যে এমন মানুষে সংথ্যা অত্যন্ত কমই আছে। আমিও জানি মানতেও চেষ্টা করি কিন্তু বাধা হয়ে দাড়ায় কিছু কিছু হাদিস সেগুলি বুখারী শরীফের বলে সেগুলিকেও অদেখা বা অবজ্ঞা করতে পারি না। সাহাবাগন তারকা সদৃশ যাদের একজনকে অনুকরণ করলেই হেদায়েত। এই মর্মে বুখারী শরীফে হাউজে কাওসার অধ্যায়ের কিছু হাদিস পড়ে আমার মাথায় তো বাজ পরার সামিল। নিন্মে হাদিসগুলি সহ আমার চিন্তা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আমাকে বুঝাতে কেউ সাহায্য করলে আমার উপকার হবে আমি সহজেই অনুকরন অনুসরণ করতে পারবো।
* বুখারী ৬১২২ হাদীসঃ হুজুর (সা:) বলিয়াছেন, আমি হাওজে কাওছারে তোমাদের অগ্রগামী প্রতিনিধি। তোমাদের মধ্যকার কতিপয় লোককে (আমার সম্মুখে) উপস্থিত করা হইবে। তারপর তাহাদিগকে আমার নিকট হইতে টানা – হেচড়া করিয়া নিয়া যাওয়া হইবে। আমি বলিব, হে আমার প্রভু! ইহারা তো আমার সাহাবী? আমাকে বলা হইবে, তুমি জান না যে, তোমার অবর্তমানে তাহারা (ধর্ম বিরোধী) কত নূতন কাজ করিয়াছে।
* বুখারী ৬১২৮ হাদীসঃ হযরত আনাস হইতে বর্নিত। হুজুর (সা:) বলিয়াছেন, আমার কিছু সংখ্যক সাহাবী হাওজে কাওছারের পাশে আমার নিকট উপস্থিত হইবে। আমি তাহাদিগকে চিনিতে পারিব; কিন্তু আমার সম্মুখ হইতে তাহাদিগকে টানিয়া লইয়া যাওয়া হইবে। আমি বলিব, ইহারা তো আমার সাহাবী । বলা হইবে, তুমি জান না যে, তোমার অবর্তমানে তাহারা কতসব নূতন মত ও পথের উদ্ভব ঘটাইয়াছে।
* বুখারী ৬১২২ এবং ৬১২৮ নং হাদীসের অনুরূপ হাদীস বুখারী শরীফের হাওজে কাওছার অধ্যায়ে আরও পাবেন যেমন ৬১৩০ এবং ৬১৩৬ নং হাদীস।
উপরে উল্লেখিত ৬টি হাদিসগুলি তাজ প্রকাশনার কিতাব থেকে সংগ্রীহিত। এই হাদিসে উল্লেখিত যারা বেদাৎ করেছে তারা কারা? আমরা না জেনে যদি তাদের অনুকরন অনুসরণ করি তবে তো জাহান্নাম অবধারিত। “তুমি জান না যে, তোমার অবর্তমানে তাহারা কতসব নূতন মত ও পথের উদ্ভব ঘটাইয়াছে।” রাসূল সা. এর কাছ থেকে টেনে নেওয়া হবে খুব স্বাভাবিক ভাবেই বুঝা যায় তাদের সাফায়্যাত আল্লা করতে দিবেন না। এমনকি কাওসারের পানি যে না পাবে সে জান্নাতে পৌচ্ছাতে পারবে না। নবীকে কোন কোন সাহাবার ব্যপারে আল্লা সতর্ক করছেন? আমার সরল মনের প্রশ্ন চিন্তা থেকে মনে হয় বেদাৎ এর প্রচলন ঘটানো কোন আম (সাধারন) সাহাবাদের পক্ষে সম্ভব ছিল নয়। তবে কি যারা খমতায় অধিষ্ঠিত ছিলো তাদের কথাই বলা হয়েছে? আমার মাথায় তো কিছু আসে না! আর নবীর ওফাতের পরে এত বড় বড় সাহাবাগনেরা থাকতে অন্যান্য সাধারন সাহাবাগন বেদাতের প্রচলন ঘটাবেনই কি ভাবে? আমি আল্লার কাছে সব সময়ই প্রার্থনা করি যেনো ভুলেও সে সমস্ত সাহাবাদের অনুকরণ বা অনুসরণ তুমি আমাকে করিও না মালিক। যাতে করে মনের অজান্তেই আমার স্থান জাহান্নামের জন্য নির্ধারিত হয়ে না থাকে! আল্লা আমাকে ইবলিশের ওয়াস ওয়াসা থেকে সব সময় দুরে রেখ উল্লেখিত হাদিসের বেদাতকারী সাহাবা এবং তার অনুসারীদের থেকে। আমি পাপী গুনাহগার বান্দা তুমি আমাকে ক্ষমা না করলে সঠিক দৃষ্টি না দিলে সে সমস্ত সাহাবীদের চিনতেও পারবো না কোন দিন। আল্লার পবিত্র কোরআন থেকে একটি আয়াত দিয়ে শেষ করছি আমি আমি সেটারই চেষ্টা করছি এবং সকলকে এই চেষ্টা করার আহবান জানাচ্ছি। ৩:৩১#“বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।”