ফকির উয়ায়ছী:
আমাকে শিয়া ভেবে রাগ করতে পারেন তাতে কিছু যায় আসে না। আমার মালিক জানেন আমি আল্লা এবং রাছুলে সুন্নত পালন করা সুন্নি। শিয়ারা ভাবতে পারে আমি তাদের দলের। যে শিয়ারা আল্লার অস্তিত্ববোধ স্বীকার করে না। আমি তাদের মুসলমান মনে করি না। তবে যা বলি সত্য বলি। অনেকে অজ্ঞতার কারণে আমার প্রতি রুষ্ট হবেন তবে এটা সত্যের বিপরিতে যাবে। আল্লার কাছে আমি দোষী হবো না। কেউ যদি আমাকে ভুল মনে করেন। আমি সাদরে আমন্ত্রন জানাচ্ছি ভুল ভাঙ্গিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ হবো। কিন্তু রাছুল ব্যতীত বিতর্কীত ব্যক্তিদের সুন্নত পালন করবো না এবং এমন আমলও করবো না।
মুসলমানের জন্য আদর্শ হচ্ছে হতে হবে বিতর্কবিহীন ব্যক্তিত্ব। যেমন মুহাম্মদ সা. আলী, হাতেমা, হাসান, হুসাইন। যারা কোরান মতে স্বীকৃত পূত-পবিত্র। যাদের ছাড়া কোরানের আয়াত প্রচার নিষেধ ছিল। যাদেরকে নামাযের প্রতি ওয়াক্তে সালাম না দিলে নামাযই হয় না। সুন্নত পালন করতে হলে এমন ব্যক্তিত্ত্ব সম্পন্ন লোকদের সুন্নত পালন করা যেতে পারে। তা না করে পবিত্র রমজান মাসে বিতর্কীত সাহাবাদের সুন্নত পালনে ব্যস্ত। খলিফা ওমর বিতর্কীত অনেক জ্ঞান সম্পন্ন মুসলমানদের কাছে এবং একটি মাযহাবের দৃষ্টিতে তিনি গাফেল। কারণ মৃত্যুর প্রায় ১০০বৎসর পর ওমরের গলিত লাশের পা কিরা খাচ্ছিল এমন দুরবস্থা দেখে ওমর বীন আব্দুল আজীল বেহুশ জ্ঞানহারা হয়ে গিয়েছিলো। সে খলিফা ওমরের বেদাতে হাসানা পালন করতে এক রকম বাধ্যই করা হচ্ছে। এবং খোলাফায়ে রাশেদিন হযরত আলীর সাথে যুদ্ধকারী। সর্ব প্রথম কোরান অবমাননাকারী কোরানের পাতা ছিড়ে বর্ষার আগায় লাগিয়ে ছিল। ছল করে যুদ্ধের ময়দানে প্রান রক্ষাকারী সাহাবা নামীও মুয়াবিয়ার চাপিয়ে দেওয়া ফিৎরার সুন্নত পালন করতে হচ্ছে অচিন্তাশীল মানুষের। শুকৌশলে রাছুলের সুন্নত থেকে দুরে সড়িয়ে নিচ্ছে মুহাম্মদ সা. এর উম্মতদের। আর সামান্য পয়সা বাচানোর চিন্তায় রাছুলের সুন্নত থেকে দুরে সরে যাচ্ছে মানুষ। এই আলেম সাহেবদের পূর্ব পুরুষরাই হয়তো ছিলো কারবালার ময়দানে। হুসাইনের বিপরীতে যুদ্ধরত। তারাও তো নামাযী ছিলো আমি সত্যই চিন্তত। আমরা রাছুল সা. এর দামন ধরে থাকতে পারলেই হাশরের ময়দানে রাছুল সা. এর সাফায়্যাত পাওয়ার আশা করতে পারি। নবীর সামনে দাড়াতে যেনো কুন্ঠাবোধ না হয়। হে আল্লা আমাদের রক্ষা করো সে সমস্ত লোকদের থেকে। এক শ্রেণী আছে দোদেল বান্দা এদের ধরে আবার আহলে বায়াতের নাম করে তারা তো মুনাফিক। মুনাফেকির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দুমুখোপনা। আমার রাছুলের কাছে এটাই ছিল সবচেয়ে ঘৃণীত। আমি তো আল্লার হুকুম পালনে সচেষ্ট থাকি সব সময়।
যারা না মানতে পারবে তারা তো সত্য পরিত্যাজ্ঞকারী। তাতে সত্য তো আপন অবস্থানে অনড়। আল্লা কোরানে বলেছেন আয়াতে ১৭:৮১# “সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।” আরো বলেছেন ২:৪২# “তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্ত্বে সত্যকে তোমরা গোপন করো না।” হুকুম করেছে ৯:১১৯# “হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক।”
আল্লা আহবান করেছে ইমানদারদেরকে। যারা সত্য গ্রহনে ব্যর্থ তাদের আমল আল্লার কাছে পৌচ্ছাবে না এ ব্যপারে শুধু আমি নয় আপনী নিশ্চিত।
