আমরা কিভাবে মুসলমান চিন্তার জন্য তুলে ধরছি
======================================
ফকির উয়ায়ছী:
প্রথমেই আমি কোরানের দুইটি আয়াত দিয়ে শুরু করছি আয়াত নিন্মে:
৩:১০২# “হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।”
২:১৩২# “এরই ওছিয়ত করেছে ইব্রাহীম তার সন্তানদের এবং ইয়াকুবও যে, হে আমার সন্তানগণ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এ ধর্মকে মনোনীত করেছেন। কাজেই তোমরা মুসলমান না হয়ে কখনও মৃত্যুবরণ করো না।”
আমি ছোট ছোট দুটি পোষ্ট করেছিলাম সেখানে মুলত দুটি প্রশ্ন ছিলো যেমন ১ম- নবীগন মুলমান ছিলো। কিন্তু তাদের অনুসারীরা কেন মুসলমান হলো না? ২য়- মুহাম্মদ সা. এর অনুসারী হলেই মুসলমান হয় কিভাবে? আগের পোষ্ট দুটি ছবি আকারে উল্লেখ করলাম আপনাদের সুবিদ্ধার্থে। এই প্রশ্ন দুটির কোন সদ উত্তর কেউ দিতে পারেন নাই। আমার মনে হয়েছে এটা হয়তো পাঠদের কাছে প্রশ্নই মনে হয়নি। আসলে প্রশ্ন ঠিকই ছিলো এই চিন্তা মাথায় আসেনি তাদের এবং তাদের পূর্বজনদের মাথায়। কারণ তারা বাপ দাদার ধর্ম অনুযায়ী মুসলমান হয়েই তৃপ্ত। তার উপর রয়েছে খতনা করা। বাপ/দাদার কথায় যদি ধর্ম চলতো ইব্রাহিম আ. তার পিতার ধর্ম পরিত্যাজ্ঞ করতো না। আমরা আজ ঘনটি বাজাতাম সাথে উলু ধ্বনি দিতাম। আর খতনা করলে যদি মুসলমান হওয়া যায়। খৃষ্ঠানদের অধিকাংশই এখন খতনা করে। শারীরিক সুস্থতার জন্য আমরা করানো হয় মুসলমান বানানোর রীতি মনে করে। খতনা করা যদি ধর্মের বিধান হতো তবে হাশরের ময়দানে খতনা বিহীন অবস্থায় কেন পুনরুত্থান করবেন আল্লা? এটা চিন্তা করাটাও জরুরী।
প্রশ্নগুলির উত্তর আজ আমি দিচ্ছি ১ম। মুহাম্মদ সা. এর আগের নবীগন ঠিকই মুসলমান ছিলেন। আর তাদের দাওয়াত মুসলমান হওয়ার জন্য ছিলো না। দাওয়াত ছিলো একেশ্বর বিশ্বাস আর ইব্রাহিম, ইসা, মুসা নবীকে রাছুল মানা এবং পরকালে বিশ্বাস করা। সে নবীগনের অনুসারীরা বিশ্বাস করে ইসা নবীর অনুসারীরা হয়েছে খৃষ্ঠান। মুসা নবীর অনুসারীগন হয়েছে ইহুদী। কিন্তু ইব্রাহিম নবী নিষেধ করেছেন মুসলমান না হয়ে মরার জন্য। এ জন্যই মুসলমানের জাতির পিতা বানিয়েছেন আল্লা। শুধু তাই নয় আল্লার হুকুম আকিমুস সালাত ওয়াতুজ যাকাত সর্বপ্রথম ইব্রাহিম আ. অনুধাবন করতে পেরেছেন বলেই কোরানে আল্লা মুহাম্মদ সা.কে সহ উম্মতে মুহাম্মদিদের হুকুম করেছেন তোমার ইব্রাহিমের মিল্লাতের উপর সদা কায়েম থাকো। চিন্তা করেন কি কেউ ইব্রাহিমের মিল্লাতে কায়েম থাকা কি? ইব্রাহিম আ. এর সময় তো ওয়াক্তিয়া সালাতের রেওয়াজ ছিলো না। একটু চিন্তা করা দরকার। বিজ্ঞ আলেম সাহেবদের কাছে প্রশ্ন করলে আমরা কিভাবে মুসলমান? তাদের কয়টা গদবাধা বাক্য। আমরা কলেমা পড়ি। রাছুল সা. যা করেছেন এবং আমাদের পালনের নির্দেশ দিয়েছেন সেটা পালন করলেই মুসলমান। এডিশনাল তো আছে খতনা, দাড়ি, টুপি, জুব্বা পাগড়ী নামায পরলেই মুসলমান। অথচ আরব মরুভূমির সব মানুষই পাগড়ী,জুব্বা ব্যবহার করতো। বস্ত্র পরিধান বা শারীরিক লেবাসের সাথে দ্বীনের কোন সম্পর্ক নেই। রাছুল সা. মেরাজের আগে নামায আদায় করেন নাই। রাছুল সা. মেরাজের আগে বার বৎসর হেরা গুহায় কি করেছেন সেটার খোজ করেন না? রাছুল সা. আদর্শ মানলে নবীর সব কর্মই তো জানা দরকার। ১২টা বৎসর কাটিয়েছেন হেরা গুহায়। যারা বিত্ত্ববানদের অনেকে গিয়ে হেরা গুহায় নফল নামায আদায় করেন। নবীজী তো কোন নামায পরেছেন বলে মনে হয় না। তখনো কোন নামায ছিলো না নামায এলো মেরাজের পর আপনাদেরও জানা।
ধরুণ কোন বিধর্মীভাই আপনাকে প্রশ্ন করলেন এই প্রচলিত নামায তো এসেছে মুহাম্মদ সা. এর মেরাজ থেকে। আগের নবীগন তো নামায পরেন নাই। তবে নবীগন মুসলমান হলো কিভাবে? সে সাথে এও বলতে পারেন আপনারা নামাযী না বলে সনাতনী একেশ্বরবাদী বলাটাই তো সমীচিন। তারাও যেমন আপনারাও তেমন। মুসলমান যদি বলতেই হয় বলুন সনাতনী মুসলমান। পূর্বের নবীগনের সময় নামায থাকলে তো তারাও আদায় করতো। এতে বুঝা যায় এসকল কর্মে মুসলমান নির্বাচন হয় না এটা পরিষ্কার। আপনারা আমার উপর রাগ হচ্ছেন হতে পারেন। সময় আসছে সচেতন হওয়ার আপনাদের সন্তানদের এই গুজামিল দিয়ে বুঝাতে পারবেন না। অনেক উচ্চ শিক্ষিত ছেলেরা এখন এমন অনেক প্রশ্নের গুজামিল দেওয়া উত্তর মেনে নিতে না পেরে নাস্তিক হচ্ছে। এখনো সময় আছে চিন্তা করতে অনুরোধ করবো। আপনী নামাযের চিহ্ন কপালে ফুটিয়ে নিজেকে মুসলমান মনে করার দিন শেষ হবে অচিরেই। রাছুল সা. এর আদর্শ মুখে মুখে মানলেই হবে না। রাছুল সা. যে পদ্ধুতিতে মুসলমান করেছেন সেভাবে মুসলমান হলেই নিজেকে প্রকৃত মুসলমান দ্বাবী করতে পারবেন। খোজ করে দেখুন আপনার চার পুরুষ আগে আপনার দাদার দাদা মুসলমান ছিলো কিনা? এমন কি রাছুল সা. এর পূর্ব পুরুষগনও মুসলমান ছিলো না এটা আপনারা জানেন সকলেই।
কোরানের প্রতিটি আয়াত কিয়ামত পর্যন্ত আগত প্রতিটি মানুষের জন্যই বিধান। কোরানের বিধান নারী এবং পুরুষকে বায়াতের মাধ্যমে আনুগত্যে শপথ করিয়ে মুসলমান করা। আর আল্লার এই হুকুম ইমানদারদের জন্য। আর বায়াত হলেই আল্লার পুরুষ্কার পাওয়ার যোগ্য হলেন।-৪৮:১০
রাছুল সা. এর এই বিধান মেনে বায়াতে রাছুল এর মাধ্যমে আত্মসমর্পন করে মুসলমান না হতে পারলে মুসলমান দ্বাবী না করে একেশ্বরদাবী মনে করাই যথার্থ। রাছুল সা. এর মুসলমান করার বিধান একটাই বায়াত। বায়াত ব্যতীত মুসলমান হওয়ার আর কোন উপায় নাই। প্রকৃত মুসলমান হতে না পারলে কিসের আমল কিসের ইবাদত। আল্লার হুকুম পালন ব্যতীত আমলে কি ফায়দা সেটা আপনার বিবেচনা করে দেখবেন।
