ফকির উয়ায়ছী-Fokir:
৬:৩৮# আর যত প্রকার প্রাণী পৃথিবীতে বিচরণশীল রয়েছে এবং যত প্রকার পাখী দু’ ডানাযোগে উড়ে বেড়ায় তারা সবাই তোমাদের মতই একেকটি উম্মত (জাতি)। আমি কোন কিছু লিখতে ছাড়িনি। অতঃপর সবাই স্বীয় প্রতিপালকের কাছে সমবেত হবে।
৬:৩৮# আয়াতটা পড়লে সহজেই বুঝা যায়। প্রানী আর মানুষের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই, সকলেই এক একটা প্রানী ব্যতীত অন্য কিছুই নয়।
২:৮৫# আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে স্বেচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক, তাঁরই অনুগত হবে এবং তাঁর দিকেই ফিরে যাবে।
২:৮৫# আয়াতে সহজেই বুঝা যায়, সব সৃষ্টি বুঝে নাবুঝে আল্লাহর প্রতি অনুগত আছে। যেহেতু প্রানীকুলের শ্রেষ্ঠ মানুষ। তবে সে যদি অবলা প্রানীর মতই না বুঝে অনুগত হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে চায় তাতে তো সৃষ্টির সেরা হবার উপায় নাই। নিকৃষ্ট প্রানীর মতই একটা সৃষ্টি তাই নয় কি?
২২:১৮# তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু আছে নভোমন্ডলে, যা কিছু আছে ভুমন্ডলে, সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি পর্বতরাজি বৃক্ষলতা, জীবজন্তু এবং অনেক মানুষ। আবার অনেকের উপর অবধারিত হয়েছে শাস্তি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন, তাকে কেউ সম্মান দিতে পারে না। আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করেন।
২২:১৮# এই আয়াতটা পড়লে বুঝা যায় আল্লাহ সৃষ্টির সমস্তই সিজদা করে আছে কিন্তু মানুষের বেলায় শুধু ব্যতীক্রম অর্থাৎ সব মানুষ নয়। এতে করেও বুঝা যায়। না বুঝের দল সিজদাবনত নয়। যারা নিজ জ্ঞান দিয়ে বুঝে আনুগত্য করে শুধুই তারাই সিজদাবনত হয়। অন্যেরা পশুর ন্যায়ই না বুঝের মত আনুগত করে চলে। আল্লাহ এদের বলেছেন “তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর।”- (৭:১৭৯)
২:৭৮# তোমাদের কিছু লোক নিরক্ষর। তারা মিথ্যা আকাঙ্খা ছাড়া আল্লাহর গ্রন্থের কিছুই জানে না। তাদের কাছে কল্পনা ছাড়া কিছুই নেই।
২:৭৮# এই আয়াতের অধিকারীরা যে কোন শ্রেনীর মানুষ সেটা তো বলে বুঝানোর দরকার নাই। এদের কথা কর্ম এবং লেবাস দাড়ি, টুপি, পাঞ্জাবী/জুব্বা দিয়েই তারা ইসলামের বলে প্রমান করাতে চেষ্টা করে; আমল আকীদার দরকার নাই।
