হাদিসটি বাংলা হাদিস আন-নওয়ারী কিতাবের ইন্টারনেট থেকে সংগ্রীহিত।
নিম্নে বর্ণীত হাদিসটিতে অর্থহীন মানুষদের সদকা প্রদানে জন্য যে সুন্দর ব্যবস্থা আছে তাতে আমি পরিষ্কার বুঝতে পারি অর্থহীন মানুষদের জন্য আল্লা যাকাত দেওয়ার ব্যবস্থা অবশ্যই রেখেছেন। কোরআনে প্রতিবার আকীমুস সালাত ওয়াতুজ যাকাতের কথা বলা আছে। এখানে ধনী গরীবের কথা বলা হয় নাই। আল্লার কাছে তার সব বান্দাই সমান। সেটা কিভাবে যাকাত দিতে হয় সেটা আমরা জানিনা বিধায় অর্থহীন মানুষগন শুধু যাকাত পাওয়ার আশাতেই পয়সা ওয়ালা মানুষদের দিকে তাকিয়ে থাকেন।
২৫। আবূ যর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহর কিছু সাহাবী নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলেন:
“হে আল্লাহর রাসূল! বিত্তবান লোকেরা প্রতিফল ও সওয়াবের কাজে এগিয়ে গেছে। আমরা নামায পড়ি তারাও সেরকম নামায পড়ে, আমরা রোযা রাখি তারাও সেরকম রোযা রাখে, তারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ সদকা করে।
তিনি বলেন: আল্লাহ্ কি তোমাদের জন্য এমন জিনিস রাখেননি যে তোমরা সদকাহ্ দিতে পার। প্রত্যেক তাসবীহ্ (সোবহান আল্লাহ্) হচ্ছে সদকাহ্, প্রত্যেক তাকবীর (আল্লাহু আকবার) হচ্ছে সদকাহ্, প্রত্যেক তাহমীদ (আলহামদুলিল্লাহ্) হচ্ছে সদকাহ্, প্রত্যেক তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্) হচ্ছে সদকাহ্, প্রত্যেক ভালো কাজের হুকুম দেয়া হচ্ছে সদকাহ্ এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত করা হচ্ছে সদকাহ্। আর তোমাদের প্রত্যেকে আপন স্ত্রীর সাথে সহবাস করাও হচ্ছে সদকাহ্।
তারা জিজ্ঞাসা করেন: হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কেউ যখন যৌন আকাঙ্খা সহকারে স্ত্রীর সাথে সম্ভোগ করে, তাতেও কি সওয়াব হবে?
তিনি বলেন: তোমরা কি দেখ না, যখন সে হারাম পদ্ধতিতে তা করে, তখন সে গোনাহ্গার হয় কি না! সুতরাং অনুরূপভাবে যখন সে ঐ কাজ বৈধভাবে করে তখন সে তার জন্য প্রতিফল ও সওয়াব পাবে।”
[মুসলিম: ১০০৬]