ফকির উয়ায়ছী:
এই হাদিস অনুযায়ী খুব সহজেই বুঝা যায় ওয়াক্তিয়া নামাযের মালিক নবী সা.। মানুষ যখন তার প্রিয় বস্তু দান করার পর সেটা আবার নিজের বলে দ্বাবী করেন না। ঠিক তেমনি আল্লা যখন তিঁনি কাউকে কিছু দিয়ে দেন তারপর আর সেটা মালিকানা আল্লার চাইবেন না। মেরাজের রাত্রে আল্লা এই নামায নবীজীকে দিয়ে দিয়েছেন। তা হলে কেন এই নামাযের মধ্যে ফরজ আল্লার বলে পড়া হবে? সুন্নত রাছুল সা. এর বলা হয়? ফরজ এবং সুন্নত দুই-ই রাসুল সা. এর। আল্লার সালাতের নির্ধারিত সময় আল্লা বেধে দিয়েছেন সকল সৃষ্টির জন্যই সেটা কোরআনের ১৯:৩১ আয়াতে স্পষ্ট আছে। অধিকাংশ মানুষ না জানলেও ওয়াক্তিয়া নামাযের প্রতি রাকাতে রাছুল সা. এর নাম মুহাম্মদ এবং আহাম্মদ লিখা হয়। আল্লার সৃষ্টি সমস্ত জীবই সালাতে রত (সূরা ২২:১৮) তাদের মধ্যে মানুষও অবুঝ প্রাণীদের মত নামায শুধু পড়েই যায়। এই সব লোক দেখানো নামাজীদের কথা আল্লা সুরা মাউন এর মধ্যে বলেছেন। নবীজীর নাম যে লিখা হয় নিচের ছবিটি দেখলেই তার প্রমান মিলবে। দয়া করে নামায বুঝে পড়ুন। বুঝে পড়লেই ফায়দা; নচেত শুধুই শরীর চর্চা।উপরের চিত্রটি ভাল করে লক্ষ করুন। ওয়াক্তিয়া নামাযে দাড়ালে আলিফ আকার হয়। রুকুতে গেলে ‘হা’ আকার হয়। দুই সিজদায় মিম+মিম হয়। বৈঠকে ‘দাল’ আকার হয়। শুধু তাই নয় লক্ষ করে দেখবেন মিম অক্ষরটাকে খাড়া করলে মাথাটা মিমের পুটলি মতই দেখায়। এবার লক্ষ করেন যদি আলিফ ধরি “আলিফ+ হা+ মিম+মিম+দাল”= ‘আহাম্মদ’ হয়। আর যদি মাথাটাকে মিম হিসাবে ধরি “মিম+ হা+ মিম+মিম+দাল”= ‘মুহাম্মদ’ হয়। জীবন ভর তো নামায পড়েই যাচ্ছেন একটু চিন্তা করে যদি আদায় করেন; যে নামায আপনি পড়ছেন তাতে প্রতি রাকাতে নবী সা. এর নাম লিখছেন দেখবেন মন বিচলিত হবেনা আশা করি। এই নামায নিয়ে নবীর সাথে কার্পন্য কেন করেন। কেন আল্লার ফরজ বানাচ্ছেন। আল্লার ফরজ পালন করতেই হবে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় সূরা হজ্ব এর ২২:১৮ আয়াত। আল্লার ফরজ আদেশ তো জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সূরা ১৯:৩১ আয়াত। ভুলে গেলে চলবে না আল্লা সূরা নিসার ১৫০-৫১ আয়াতে বলেছে আল্লা এবং রাছুলের মধ্যে যারা কম বেশী করে তারা কাফের। আল্লার ফরজ উল্লেখ আছে ১৯:৩১ আয়াতে। যদি দিনের পাচ ওয়াক্ত নামাযের ফরজ এবং জন্ম থেকে মৃত্যুর পর্যন্ত এই দুই ফরজই আল্লার হয় তবে তো রাছুল সা.কে কমই দেওয়া হলো। তবে রাছুল সা. এর ফরজ গেল কোথায়? এই কার্পন্যকারীদের কি আল্লা পাকরাও করবেন না। আপনারা যদি একটু কষ্ট করে সূরা মারিয়মের ৩১ নং আয়াতটি পড়েন দেখতে পাবেন আল্লার সালাতে ওযু গোশল করার শর্ত নাই। আর সূরা মায়িদার ৬ নং আয়াতটি পড়লে দেখতে পাবেন রাছুল সা. এর সালাতে ওযু গোশলের শর্ত আছে। কাজেই চিন্তা করে বুঝে পড়ার জন্যই অনুরোধ করছি। নিশ্চয়ই কোরআন দেখতে ইবলিশ ব্যতীত অন্য কারো দ্বিমত হওয়ার কথা নয়। আয়াত দুইটি নিন্মে উল্লেখ করে দিলাম আপনাদের খোজার কষ্ট কমানোর লক্ষে বুঝে শুনে বেশী বেশী সালাতেই তৃপ্তি হবে তাতে আল্লাও সন্তুষ্ট থাকবেন আশা রাখি।
৫:৬# হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং পদযুগল গিটসহ। যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও এবং যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা প্রবাসে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর, অতঃপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-অর্থাৎ, স্বীয় মুখ-মন্ডল ও হস্তদ্বয় মাটি দ্বারা মুছে ফেল।
১৯:৩১# “তিঁনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যতদিন জীবিত থাকি, ততদিন নামায ও যাকাত আদায় করতে।”