মারেফতের বিভ্রান্ত অনুসারীই বলবে শেরেকী বৈধ
==================================
ফকির উয়ায়ছী:
মারেফতের বিভ্রান্ত অনুসারীই বলবে শেরেকী বৈধ এবং শেরেকীর নানা ধরণের মন গড়া অর্থ বানাবেন। মোহ যদি শেরেকী হয়। মোহ অর্থাৎ আকৃষ্টতা। এই আকৃষ্টতা দৈহিক প্রয়োজনেও হতে পারে। দৈহিক প্রয়োজনকে যদি মোহ বলা হয়। তবে পীর সাহেবের নাকে লাগানো অক্সিজেন সেটাও মোহ এর মধ্যে বিবেচীত হবে। এমনকি দৈহিক প্র্রয়োজনে একাধিক বিবাহ মোহ এর ফসল। শেরেকী অর্থ সরল করে বললে আল্লার মতন দেখা বা আল্লার সমকক্ষ দ্বার করাই শেরেকী।
আল্লার বিধানের ব্যতিক্রম হয় না। যে পীর সাহেব তার বিধানের পরিবর্তন করবেন তারা সঠিক হওয়ার সুযোগ নাই। প্রথমেই শিক্ষা দিবে পীরের সুরত ধ্যান করা। পরে বলবে আপন সুরত ধ্যান করতে। পীরের সুরত ধ্যান খাটি শেরেকি। মশহুর পীর জাহাঙ্গীর বেইমান তার কিতাবে লিখছেন। পীর ধরা জীবনের শেষ শেরেক! ধন্যবাদ দিতে হয় সৎ সাহস করে বলার জন্য। ধৃষ্টতা দেখে অবাক হতে হয়। আল্লা নিশ্চয়ই শেরেক করার জন্য বায়াত হতে বলেন নাই। বরং নিষেধ করেছে বার বার শেরেক করতে। বিভ্রান্ত পীরের নির্বোধ মুরিদ সঠিক মেনে শেষ শেরেকি করে পীরের ধ্যান করছেন। আল্লার কথার মূল্যই দিচ্ছেন না।
যেহেতু মৃত্যুর সময় নির্দিষ্ট নয়। এই পীরের কথা আমি মানবো যদি পীর বলতে পারেন আমার/ আপনার হায়াতকাল অর্থাৎ নির্ধারিত মৃত্যুর সময়। তবে শেরেক করা যেতে পারে। কারণ শেরেকি হালে মৃত্যু বরণ করলে তার পরিনাম আল্লা কোরানে উল্লেখ করেছেন। ৪:১৮# “তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।” আমি এই কথা এজন্য উল্লেখ করছি পীর বলে দিবে তুমি এতদিন শেরেকী করবে পরে শেরেকি মুক্ত হওয়ার সময় পাবে। যদি শেরেককারী হালে মৃত্যু ঘটে তবে মুক্তি মিলার সুযোগ নাই। এটা তো আল্লা ঘোষনা দিয়েই রেখেছেন কোরানে। চিন্তা করে দেখা উচিৎ মৃত্যু যেনো শেরেকি হালে না হয়।
এই বিভ্রান্ত পীর শিক্ষা দেয় সময় নির্ধারণ করে ধ্যান অর্থাৎ স্মরণ করার কথা। আপনারা মুরিদগন সেটা মেনে নেওয়ার আগে কোরান দেখুন। আল্লার স্মরণ করতে হবে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত। ১৯:৩১# “আমি যেখানেই থাকি, তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যতদিন জীবিত থাকি, ততদিন নামায ও যাকাত আদায় করতে।”
কোরানের প্রতিটি আয়াত মানব জাতির জন্য মান্যবর। শরিয়তের আলেম সাহেবগন বলে আমরা পরিবার পরিজন অধিনস্তদের সাথে নিয়ে এই হুকুম কায়েম করি। অথচ ইসা নবীর সময় পাঞ্জেগানা নামায ছিলোই না।মারেফতের দল বলে এই হুকুম পালন এটা ইসা আ. পর্যন্তই সীমা বদ্ধ। এদের মাথায় ঢুকে না যে ইসা নবী এই হুকুম পালন করার জন্যই মুসলমানের অন্তর্গত ছিলো।
আল্লা নবীকে বায়াতের হুকুম করেছেন শেরেক না করার শর্তে:
৬০:১২# “হে নবী, ঈমানদার নারীরা যখন আপনার কাছে এসে আনুগত্যের শপথ করে যে, তারা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, তাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, জারজ সন্তানকে স্বামীর ঔরস থেকে আপন গর্ভজাত সন্তান বলে মিথ্যা দাবী করবে না এবং ভাল কাজে আপনার অবাধ্যতা করবে না, তখন তাদের আনুগত্য গ্রহণ করুন এবং তাদের জন্যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল অত্যন্ত দয়ালু।”
কোরােন থেকে পরিষ্কার এটাই বুঝতে পেরেছি যে এক মূহুর্ত যদি কেউ শেরেক করে এবং মৃত্যূর আগে সঠিক ভাবে কারো হাত ধরে তওবা না করে একা একা হাজার বার তওবার বাণী আওরায় তবুও শেরেককারী হিসাবেই মৃত্যু হবে। যার ফল জাহান্নাম অবধারিত।