আজঃ বৃহস্পতিবার | ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
Home / ফকির উয়ায়ছী / প্রবন্ধ / নবীজির সিনাচাক সম্পর্কে আপন চিন্তা জরুরী-১/৪ পর্ব

নবীজির সিনাচাক সম্পর্কে আপন চিন্তা জরুরী-১/৪ পর্ব

নবীজির সিনাচাক সম্পর্কে আপন চিন্তা জরুরী-১/৪ পর্ব
===========================================
ফকির উয়ায়ছী:

নবীজির সিনাচাক অর্থাৎ নবীজির বুক কেটে অন্তর পরিষ্কার করা হয়েছে তাও একবার দুইবার নয় ইতিহাস থেকে জানা যায় এটা নাকি ৪বার করা হয়েছে। এই বিষয়ে আল্লা কোরআনে কোন কিছুই বলেন নাই। অতিভক্তি দেখাতে গিয়ে নিজেদের অতিরিক্ত প্রেমিক বুঝাতে নবীকে মাসুমিয়াতের পদ থেকে টেনে হিচরে নিজেদের কাতারে নামিয়ে এনেছেন। এটা করার কারণ দুটো হতে পারে প্রথমটি হচ্ছে এটা অমুসলিম ইহুদিবাদের সড়যন্ত্র অথবা নিজেদের পাপকে ঢেকে রাখার প্রয়াস। যে আমরা শুধু একাই খারাপ নই। আল্লা রাছুল সা.কেও পরিশুদ্ধ করতে হয়েছে বার বার। পাঠকগন একটু ধর্য ধরে পড়ার অনুরোধ করছি।

এই বিষয়টি অল্প কথায় লিখলে পরিষ্কার করতে পারবো না। কারণ যারা সিনাচাক প্রসঙ্গটি প্রচার করেছে তারা দলে এতভারী মিথ্যাকেও সত্য বানানোর ক্ষমতা রাখে জাগতিক দুনিয়াতে। সেখানে আল্লার ধার তারা ধারে না। কিন্তু আল্লার হাবীবের এই দোষ দিয়ে মানুষের মাঝে প্রচার করা আল্লার দরবারে তা গ্রহন যোগ্য হওয়ার সুযোগ নাই। কারণ আল্লার দরবারে প্রমান আল্লা চাইবেন না। যারা নবীর সিনাচাক ঘটনাটি প্রচার প্রসার করেছে তাদের কাছে কেউ প্রমান চাননি। যদি আপনাদের মতন বিজ্ঞ মানুষ তখন থাকতো তবে এই বিষয়টি ব্যাপক ভাবে মানুষের অন্তরে স্থান পেতো না। আল্লার প্রিয় হাবীব (বন্ধু) রাছুল সা. কুশলমুক্ত নন। তাকে কুলশ মুক্ত করিয়েছেন তিঁনাকে সেজদাকারী ফেরেস্তাদের দিয়ে। এটা মানলে যে আল্লার বন্ধু নির্বাচনই ভুল হয়ে যায়। নাউজুবিল্লা। আল্লার নির্বাচন যদি এমনই হবে আর আল্লা ফেরেস্তা দিয়ে কুলশতা পরিষ্কার করিয়ে নবীজিকে লজ্জার মধ্যে ফেলেই থাকেন। তবে আল্লা অবশ্যই এই সত্য কোরানে প্রকাশ করতেন। যে, আমি আমার প্রিয় হাবিবকেও কুলশতা মুক্ত করাতে বাদ রাখিনি। এমনকি কুলশ মুক্ত করেই আমার নামের সাথে কলেমায় স্থান দিয়েছি। অথচ মুহাম্মদ সা. এর আগের নবী রাছুলগনের কাল্ব পরিষ্কার করা লাগে নাই। যাই হোউক আমার কথা মেনে নিবেন না। আল্লার কিছু কথা কোরান থেকে তুলে ধরতে চেষ্টা করবো বিচার আপনারা নিজ জ্ঞানেই করবেন। আল্লা কোরানে যেটার দলিল দেন নাই। এমনকি একথা যারা প্রচার করেছেন তারাও আল্লার দলিল দিয়ে (কোরান থেকে) প্রমান দেয় নাই। আমি প্রমান দিবো কোথা থেকে! তবে আমি একেবারেই মনগড়া আপনাদের সামনে কিছু উপস্থাপন করবো না।

এই আলোচনার প্রয়োজনে অন্য একটি বিষয়ে একটু বলতেই হচ্ছে যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী তাদের উদ্দেশ্যে। যে, মুসলাম হওয়ার আগে মুমিন হওয়া জরুরী। মুসলমান হওয়া ইসলামের শেষ স্তর। কারণ আল্লা মুমিনদেরকেই মুসলমান হওয়ার আদেশ দিয়েছেন এমনকি মুসলমান না হয়ে মরতে নিষেধ করেছেন।

মুমিন অর্থ বিশ্বাসী। কি বিশ্বাস করবেন? নাই কোন ঈলা এক আল্লা ছাড়া মুহাম্মদ সা. তাঁর রাছুল। কাজেই শুধু আল্লার উপর বিশ্বাস রাখলেই হবে না। আল্লা এবং রাছুলদের মধ্যে পার্থক্য করাও যাবে না। কারণ রাছুলগন আল্লার চরিত্রে চরিত্রবান ছিলেন। এই জন্যই আল্লা কোরানে বলেছেন আল্লা এবং রাছুলগনদের মধ্যে যারা পার্থক্য করে তারা কাফের। ৪:১৫০-১৫১ আয়াত।

চিন্তা করে দেখবেন মুসলমান নামধারীরা মুসলমাদের ধর্মের খতির কারণ। ইসা নবী, মুসা নবীর গোত্র তাদের নবীকে খাটো করার জন্য এমন মিথ্যা প্রচারনা চালায়নি। এমন সব মিথ্যা প্রচারনার জন্যই আজ সমাজে নাস্তিকরা আমাদের রাছুল সা.কে দোষ ধরার সুযোগ পায়। মন্দ বলার সুযোগ পেয়েছে। প্রমান দিচ্ছে মিথ্যা সব হাদিস দিয়ে। অথচ আল্লা পবিত্র কালামুল্লা শরিফে বলেছেন:

৪:৮০# “যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি।”

এমনকি আল্লা কোরানে এও বলেছেন সূরা নযম এর শুরুতেই ৫৩:১-৩# “নক্ষত্রের কসম, যখন অস্তমিত হয়। তোমাদের সংগী পথভ্রষ্ট হননি এবং বিপথগামীও হননি। এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।”

—————–পরের পর্ব চোখ রাখুন চলবে

About Fokir Owaisi

আরও দেখুন

এজিদের রক্ত বংশের অনুসারীদের খুশি উৎযাপনের মাস মহরম। পর্ব-১

এজিদের রক্ত বংশের অনুসারীদের খুশি উৎযাপনের মাস মহরম। পর্ব-১ ====================================================== ফকির উয়ায়ছী: আগামী ২১লা সেপ্টেম্বর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *