আজঃ বৃহস্পতিবার | ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
Home / ফকির উয়ায়ছী / প্রবন্ধ / নবীজির সিনাচাক সম্পর্কে আপন চিন্তা জরুরী-৪/৪ শেষ পর্ব

নবীজির সিনাচাক সম্পর্কে আপন চিন্তা জরুরী-৪/৪ শেষ পর্ব

নবীজির সিনাচাক সম্পর্কে আপন চিন্তা জরুরী-৪/৪ শেষ পর্ব
==============================================
ফকির উয়ায়ছী:
 
প্রথম ৩পর্বের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই ৪র্থ এবং শেষ পর্ব লেখা শুরু করলাম। একটু বড় হলেও কষ্ট করে পড়ার অনুরোধ রইল এটা প্রাণপ্রিয় রাছুল সা. প্রসঙ্গে। তৃতীয় পর্বে দুইবার সিনাচাক হওয়ার কথা সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
 
৩য় বার যখন বক্ষ বিদারণ করা হলো তখন ছিলো রমজান মাস। নুবুয়ত প্রকাশের পূর্বে রাছল সা. হযরত খাদিজাতুল কোবরা রা. সহ হেরা গুহায় এতেকাফে ছিলেন। আবার সেই জিব্রাঈল এবং মিকাঈল আ. গন উপস্থিত হয়ে রাছুল সা. এর বুক কেটে ক্কলব বের করে স্বর্ণ পাত্রে রেখে জমজমের পবিত্র দিয়ে ক্কলবে থাকা রক্তপিন্ড পরিষ্কার করলেন। তারপর নবীজিকে উপুর করে পিঠে একটি মহর অংকন করে দিলেন।}}
 
প্রথম দুইবার মুহাম্মদের অন্তরের নোংড়া রক্তপিন্ড ফেলে দেওয়ার পরও যখন কাজ হলো না। তৃতীয়বারের সময় নবীজিকে উপর করে ফেলে পিঠে সীল মারলেন। তৃতীয়বার নিশ্চয়ই ফেরেস্তাগন খুব বিরক্ত হয়েই কাজটা করতে বাধ্য হয়েছিলো। কয়বার এক কাজ করা যায়। আপনি আমি বা একই কর্মের জন্য ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখতে পারবো। তৃতীয়বারের সময় কঠিন ব্যবস্থা নিবোই। সে কাজটি আলেম সাহেবগন ফেরেস্তাদের দিয়ে করিয়েছেন। নাউজুবিল্লা বলা ছাড়া আর কি বলার থাকতে পারে? জমজম এর পানি দিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে আরে অর্বাচীনের দল। এই জমজমমের পানির যদি জবান আল্লা দিতেন। আর পানিকে প্রশ্ন করা হলে এই পানি তোর কিবলা কোনটা। পানি উত্তর দিতো আমার কিবলা মুহাম্মদ। আমি (পানি) মুহাম্মদের জন্য এত পরিচিত এবং মুহাম্মদের শুকরিয়া আদায় করি। তৃতীয় বার সীল মেরে দিয়েই আলেম হগলে খান্ত হন নাই। এত সহজেই কি মুহাম্মদকে ছাড়া যায়? আর মুহাম্মদ সা. কি এত জলদি ঈমানদার হবে। মুহাম্মদও ঈমান আনবে না। আলেম সাহেবেরাও ছাড়বেন না। মুহাম্মদকে ঈমান আনিয়েই ছাড়ার ব্যবস্থা করলেন ৪র্থ বার সিনাচাকের ব্যবস্থা করলেন।
 
৪র্থ বার মেরাজ আগের রাত্রিতে শেষ বারের মতন বক্ষ বিদারণ করেন। আগের মতন করেই রক্তপিন্ড ফেলে দিয়ে জমজমের পানি দ্বারা তিনবার ক্কলবকে ধৌত করে। স্বর্ণ পাত্রে রেখে ঈমান ও কেহমত ক্কলবে ঢেলে দিলেন। কিন্তু চারবার বুক কাটা হলেও একবারও রক্ত ক্ষরণ বা কোন যন্ত্রনা বা কোন চিহ্ন দেখা যায় নাই।}}
 
মুহাম্মদ আপনি যাবেন কোথায় ঈমান আনবেন না? আপনার অন্তরে হেকমত রাখবেন না? বুক কেটে ক্কলব বের করে জমজমের পানি দিয়ে ধুয়ে স্বর্ণ পাত্রে রেখে ঈমান ও কেহমত ক্কলবে ঢেলে দিলেন। এরপর থেকেই মুহাম্মদের ঈমান আসলো মেরাজের আগের রাত্র থেকে। কত কষ্টই না করেছে মুহাম্মদকে ঈমান আনাতে আলেম সাহেবগন। কত ঘাম ঝড়িয়েছে ফেরেস্তাদের দিয়ে। সে সব আলেম সাহেবদের ধন্যবাদ দিবো নাকি বুঝে আসে না? তাদের শুকরিয়াও জানাতে পারছি না কারণ তাদের সাথে জাহান্নামে যাওয়ার ভয় আছে অন্তরে। কারণ আল্লা তো বলেছেন রাছুল সা, আমাদের জন্য সাক্ষদাতা। এই আলেমদের শুকরিয়া জানিয়ে রাছুল সা. এর সামনে কোন মুখে দাড়াবো। এই সমস্ত আলেমদের চেয়ে সে সমস্ত বিধর্মীরা কতই না ভাল ছিলো। যারা রাছুল সা.কে আমানতদার মানতো। এমনকি আলামীন উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। আল্লা পবিত্র কোরানে বলেছেন সূরা লোকমানে “নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।”- ৩০:২৮। এই সমস্ত আলেম পন্ডিতগন যদি উক্ত আয়াত বিশ্বাস করতো তবে আল্লা প্রিয় হাবীব প্রসঙ্গে মিথ্যা প্রচার করে নিজেদেরকে অতিরিক্ত জ্ঞানী প্রমানের জন্য উঠেপড়ে লাগতেন না। কোরানের যেদুটি আয়াত দ্বারা এমন উল্টাপাল্টা জ্ঞান প্রচার করেছেন রাছুল সা.কে খাটো করার জন্য তা হচ্ছে নিন্মে আমি আয়াত দুটি উল্লেখ করে আমার নিজস্ব সংক্ষিপ্ত মতামত দিবো বাকী আপনারা নিজ জ্ঞান খাটিয়ে সঠিকটা মানতে চেষ্টা করবেন।
পবিত্র কোরানের আয়াত সূরা ইনশিরাহ ৯৪:১-২# “আমি কি আপনার বক্ষ উম্মুক্ত করে দেইনি? আমি লাঘব করেছি আপনার বোঝা।”
 
উপরোক্ত আয়াতে বক্ষ উন্মুক্তকে যদি আল্লা সিনাচাক / বক্ষ বিদারন অর্থাৎ বুক কাটাই বুঝাবেন তবে কি আল্লা এমন শব্দ প্রদর্শন করতে পারতেন না? নাকি এই সমস্ত আলেমগন আল্লাকে মুর্খ মনে করেছেন। (নাউজুবিল্লা)।নিজেদের মতন মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে আল্লার চেয়ে বড় জ্ঞানী সেজেছেন। আর “লাঘব করেছি আপনার বোঝা” বলতে রাছুল সা.কে বার বার কেটে অন্তর থেকে অপবিত্রতা ফেলেছেন।
 
আলেমদের কথায় বিশ্বাস করে যেসব মানুষ মনে করে সিনাচাক এর মাধম্যে রাছুল সা. অন্তরের অপবিত্রতা দুর করা হয়েছে। তাদের কাছে সাধারন একটি প্রশ্ন কুলশতা যদি অন্তরে থাকে তবে অন্তর নামক বস্তুটি শরীরের কোন অঙ্গের নাম? যা আজ পর্যন্ত কোন ডাক্তার বৈজ্ঞানী এটাকে দেখাতে পারলো না। সিনাচাক করেই যদি অন্তরের হিংসা, ঘৃনা দুর করা যায়। তবে মক্কা যান কেন হজ্জ করতে। আপনাদের ঘৃনাতো থেকেই যাচ্ছে। জলদি বড় ডাক্তারের কাছে যাওয়া দরকার সে সমস্ত আলেমদের এবং তাদের অনুসারীদের। ভাল করে অনুরোধ করুন ডাক্তারকে প্রথমবারেই ভাল করে সাফ করে দেয় অন্তর সমস্ত পাপ এবং ঢেলে দেয় যেনো ঈমান এবং হেকমত। প্রয়োজনে ডাক্তারদের হাতে পায়ে ধরে অনুরোধ করবেন। রাছুল সা.কে আপনারা ৪বার পবিত্র করিয়েছেন। তেমন ধর্য্য আল্লা দিবেনও না আপনারা সহ্যও করতে পারবেন না। আমি কিছু জায়গায় মুহাম্মদ নামের সাথে সা. ব্যবহার করিনি। কেন লিখি নাই বুঝতে চেষ্টা করবেন। এটাকে কেউ আমার ধৃষ্ঠতা মনে করবেন না দয়া করে। রাছুল সা.কে ভালবাসলেই আল্লাকে ভালবাসা হয়। সেক্ষেত্রে রাছুল সা.কে কুলশযুক্ত মনে করলে আল্লাকেই কুলশযুক্ত মনে করা হয়।(নাউজুবিল্লা) আমার রাছুল সা.কে যারা কুলশপূর্ণ উল্লেখ করেছেন আমি তাদের জাহান্নামী মনে করি এটাই আমার বিশ্বাস। পোষ্ট আর বড় করবো না। একটি আয়াত দিয়েই শেষ করছি
 
১০:২# “মানুষের কাছে কি আশ্চর্য লাগছে যে, আমি ওহী পাঠিয়েছি তাদেরই মধ্য থেকে একজনের কাছে যেন তিনি মানুষকে সতর্ক করেন এবং সুসংবাদ শুনিয়ে দেন ঈমনাদারগণকে যে, তাঁদের জন্য সত্য মর্যাদা রয়েছে তাঁদের পালনকর্তার কাছে।”

About Fokir Owaisi

আরও দেখুন

এজিদের রক্ত বংশের অনুসারীদের খুশি উৎযাপনের মাস মহরম। পর্ব-১

এজিদের রক্ত বংশের অনুসারীদের খুশি উৎযাপনের মাস মহরম। পর্ব-১ ====================================================== ফকির উয়ায়ছী: আগামী ২১লা সেপ্টেম্বর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *