আজঃ বৃহস্পতিবার | ৩০শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
Home / ফকির উয়ায়ছী / প্রবন্ধ / নবীজির সিনাচাক সম্পর্কে আপন চিন্তা জরুরী-৩/৪ পর্ব

নবীজির সিনাচাক সম্পর্কে আপন চিন্তা জরুরী-৩/৪ পর্ব

নবীজির সিনাচাক সম্পর্কে আপন চিন্তা জরুরী-৩/৪ পর্ব
==========================================
ফকির উয়ায়ছী:
 
প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্বে কোরআনের যে সমস্ত আয়াত উল্লেখ করেছি রাছুল সা. সম্পর্কে তারপরও যারা মনে করবে রাছুল সা. এর সিনাচাক করা হয়েছে আমি তাদেরকে মুসলমান বলে মেনে নিতে পারি না। আর দুর্বল ঈমানের অধিকারীগন আমার লেখা না পড়াই ভাল।
হাদিসে কুদসিতে পাওয়া যায়:
———————————-
“ওয়া খালাক তো মুহাম্মাদান মীন নুরী ওয়াযহিয়া ” অর্থাৎ “আমি আমার হাবীব কে আমার নিজ নূর থেকে সৃষ্টি করেছি।” যদি হাদিসটি সঠিক হয় তবে রাছুল সা. এর উপর আলেম সাহেবগন মিথ্যা প্রপাগান্ডা চালানোর ধৃষ্ঠতা দেখায় কি করে? আর বিবেকহীন নির্বোধ অর্বাচীনের দলের লোক সকল কোন চিন্তা চেতনা ছাড়াই সে সমস্ত আলেমদের কথা মেনে নেয়। এই জন্যই আল্লা পবিত্র কোরানে বলেছেন সূরা আরাফের ৭:১৭৯# “আর আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ।”
 
আল্লার কাছে আমার ফরিয়াদ ঐ সমস্ত লোকদের দুনিয়াতেও কিছু প্রদর্শন করো মওলা মরার আগে যেনো তওবা পড়ে তার আশে পাশের মানুষদেরকে তোমার হাবীব প্রসঙ্গে সত্য বলে যায়।
 
রাছুল সা. এর সিনাচাক প্রসঙ্গে ইতিহাস ঘাটলে যা পাওয়া যায় তা আমি সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরছি।
১ম বার রাছুল সা. বালক বয়সে মাঠে মেষ চড়ানোর সময় জিব্রাইল এবং অন্য এক সহযোগী ফেরেস্তা সাথে নিয়ে রাছুল সা.কে অন্যদের থেকে আড়ালে নিয়ে চিৎ করে ফেলে রাছুল সা. এর বক্ষ বিদারণ (বুক কেটে) “ক্কলব” বের করে আনলেন তারপর সেখানে থাকা কালো রক্তপিন্ড ফেলে দিয়েছেন।}}
 
সামান্য খতনা করার সময় জোর জবরদস্তী করে কাটা লাগে। আর রাছুল সা.কে চিৎ করে ফেলে বুক কেটে ক্কলব বের করলেন। এসব কথা হিন্দু সাস্ত্রের মতন কাল্পনীক রূপকথার হাস্যকর গল্প ছাড়া কি হতে পারে?
২য় বার যখন বক্ষ বিদারণ হলো তখন নবীজির বয়স নাকি ১০ বৎসর ছিলো। প্রথম বারের মতনই ২জন আসলো। এবার জিব্রাইলের সাথে মিকাঈল ফেরেস্তাও এসেছিলো। নবীজির বুক কেটে ক্কলব বের করে আনলো। একে অপরকে বললেন মুহাম্মদের ক্কলব থেকে হিংসা এবং ঘৃনা অংশরূপী রক্তপিন্ড ফেলে দিলেন। এমনকি নবীজির হৃদয়ে স্নেহ এবং দয়াকে তৈলাক্ত পদার্থরূপে ঢেলে দিলেন। রাছুল সা. নাকি এমন স্বাক্ষীও দিয়েছেন। দ্বিতীয়বার সিনাচাকের পর থেকে রাছুল সা. দুনিয়ার সকল সৃষ্টির উপর দয়াশীল এবং স্নেহ অনুভব করতে লাগলেন।}}
 
বড় আনন্দ লাগতো যখন ছোট বেলা রূপকথার গল্প শুনেছি। সেসাথে শুনেছি জিব্রাঈল আ. ৬০০ ডানা বিশিষ্ট বিশাল একটা কিছু তখন আশ্চর্য্য হয়েছি। এখন বড় কষ্ট লাগে যখন দেখি আদমকে সেজদাকারী ফেরেস্তাদেরকে আমার রাছুল সা. এর চেয়ে উচ্চ মর্যাদা দিয়ে আমার রাছুলকে খাটো করা প্রয়াস করে তখন চুপ থেকে নিজেকে মুনাফিকের দল থেকে আলাদা করার ইচ্ছাটা প্রবল হয়। মনে হয় চিৎকার করে বলি আমি মুনাফিকদের দল থেকে নিজেকে আলাদা করে ফেলেছি। পাঠকগন আমার কথায় বিশ্বাস না করে চিন্তা করে দেখবেন। “হিংসা এবং ঘৃনা” কি তরল পদার্থ? সে সাথে “স্নেহ এবং দয়া” তরল পদার্থ? হিংসা, ঘৃনা, স্নেহ, দয়া প্রতিটি শব্দই চিন্তা চেতনা থেকে আসে এবং চিন্তা চেতনা শরীরের কোন বিশেষ অঙ্গ থেকে প্রদর্শীত হয় না। যদি হতো তবে মস্তিষ্ক থেকেই হওয়ার কথা। সিনাচাক বা বুক বিদারণ করলে প্রতিটি মানুষের একই বস্তু প্রদর্শীত হবে। কাম, ক্রোধ, হিংসা, ঘৃনা, স্নেহ, এবং দয়া” যদি শরীরের বিশেষ কোন অঙ্গে ধারণ থাকতো তবে অপারেশনের মাধম্যে বাড়ানো কমানো যেতো। কোরানের সূরা ইনশিরাহ প্রথম দুটি আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করে রাছুল বিরোধী সাহাবাদের থেকেই রাছুল সা. খাটো করার প্রয়াস চলে আসছে। পরের পর্বে শেষ করার আশা করবো ইনশাআল্লা। এই পর্বে শেষ করলে মোবাইলের পাঠকদের জন্য কষ্টকর হয়।
আগামী পর্বে দেখার অনুরোধ রইল——–চলবে।

About Fokir Owaisi

আরও দেখুন

এজিদের রক্ত বংশের অনুসারীদের খুশি উৎযাপনের মাস মহরম। পর্ব-১

এজিদের রক্ত বংশের অনুসারীদের খুশি উৎযাপনের মাস মহরম। পর্ব-১ ====================================================== ফকির উয়ায়ছী: আগামী ২১লা সেপ্টেম্বর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *