আল্লা এবং সাফায়্যাতকারী নবী এদুজনের সন্তুষ্টি চিন্তায় বিভোর থাকি আমি। আর চিন্তা করি নবী পরিবারের যাদের আল্লা ঘোষনা দিয়ে কোরানে পুত পবিত্র করেছেন।
আমার সাথে ইয়া নাফসী যারা করবে তাদের চিন্তা আমি করবো কেন? তারা তো আমার চিন্তা করবে না কখন। আমার কথা বাদ থাক।
আপনারা যারা খলিফা ওমরকে মানেন, তারা যদি পরিপূর্ণভাবে ওমরকে মানতে পারতেন তবে ইসলাম ধর্মে এত ফেৎনা হতো না। সত্য বলতে কি আমি স্বীকার করি ওমরকে মানি না। আপনারাও যে মানেন না। সেটা স্বীকার করার সাহস পান না। এটা বললে ধর্ম ব্যবসায়ীদের ব্যবসা টিকবে না। কিন্তু আপনাদের কর্মে তার প্রমান মিলে। একটা সহিহ হাদিস দিয়েই তা প্রমান সম্ভব। নিন্মে উল্লেখ করছি হাদিসটি ওমরকে আপনারা প্রত্যাক্ষান করেন স্পষ্ট পরিষ্কার হয়ে যাবে:
“মুহাম্মদ ইবনে রাফে এবং আবদ ইবনে হুমাইদ (রাহ.) বর্ণনা করিয়াছে; হুযুরে পাক (সা.) মৃত্যুশয্যায় থাকাকালীন ঘরে বহুলোকের উপস্থিত ছিলেন। তাহাদের মধ্যে হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব অন্যতম। হুজুর সা. বলিলেন, আমি তোমাদিগকে একটি লিপিকা লিখিয়া দিয়ে যাই যাহাতে তোমরা পথ হারাইবে না। তখন হযরত ওমর বলিলেন, তোমাদের নিকট আল্লাহর কুরআন বর্তমান আছে। উহাই আমাদের জন্য যথেষ্ট।” -মুসলিম শরীফ হাদিস নং- ৪০৯০।
উপরোক্ত হাদিসটি রাছুল সা. ওফাতের ৪দিন আগের ঘটনা। আপনাদের মান্যবর ওমর লিখতে দিলেন না। রাছুল লিখিয়ে রেখে গেলে সেটাও হাদিস হতো সে হাদিস লিখিত করতে দিলো না। রাছুলের উপস্থিতিতে হাদিস লিখিত করতে দিলো না ওমর কোরান যথেষ্ট বলে। অথচ রাছুল সা. এর ওফাতের ১৭০-২০০ বৎসর পর লোক মুখে শুনা কথা লিপিবদ্ধ করা হাদিসের এত মূল্য আপনাদের কাছে। কিভাবে বলতে পারেন ওমরকে আপনারা মানেন?
আর সবচেয়ে বড় কথা ওমর যখন রাছুলকে লিখিত অসিয়ত রাখতে সাহায্য করতে দিলোনা সেখানের মানুষকে বাধা দিলো তখন ওমর ভুলে গিয়েছিলো কোরানে কি বলা আছে?
সূরা হুজরাতের ৪৯:২ আয়াত (“হে মু’মিনগন! তোমরা নবীর কন্ঠস্বরের উপর নিজেদের কন্ঠস্বর উঁচু করো না এবং নিজেদের মধ্যে যেভাবে উচ্চস্বরে কথা বল তাঁর সাথে সেই রূপ উচ্চস্বরে কথা বলো না; এতে তোমাদের কর্ম নষ্ট হয়ে যাবে তোমাদের অজান্তে”)।
রাগের বসে দ্বিতীয় খলিফা সাহেব এই আয়াতের কথা হয়তো স্মরণই হয় নাই। সবই যে বিনষ্ট করে মুমিনের খাতা থেকে নিজের নাম কাটিয়ে ফেললেন। আফসোস করি তার জন্য।
আল্লা কোরানে যে আরো বলেছেন আমার নবী নিজ থেকে কিছু বলেন না। মানে এই দাড়ায় রাছুলের লিখিত করতে চাওয়া সেটা আল্লার হুকুম ব্যতীত নয়। নবীর কর্ম নয় বরং আল্লার কর্মে বাধা দিয়েছেন ওমর। এটা যে বিবেকবান চিন্তাশীলরা বুঝেন না সে জন্যও আফসোস হয় আমার।
আপনারা ওমরের কথা যদি মানতেন এত মতভেদ কি হতো? অবশ্য হাদিস না থাকলে তো আপনাদের মান্যবরদের নাম গুলি মানুষ জানতো না। সে নামগুলি দিয়ে মিথ্যা গল্প সাজিয়ে বিড়ালের রাখালকে গভর্ণর বানিয়ে নবীর নাম দিয়ে সত্যায়ন করিয়ে ভোটে জান্নাতী বানাতে পারতেন না। মনগড়া ভোট দিয়ে যাদের মিথ্যা জান্নাতী বানাচ্ছেন তারাও যে ইয়া নাফসি ইয়া নাফসী করবে তবে কি লাভ স্ববিরোধী প্রচার করে? ইয়া নাফসীকারী দল সবই তো এক। আমার/আপনার চেয়ে উত্তম কেমন করে হলো?
যে হাদিস রাছুল লিখতে চেয়েছিলো সেটা লিখতে না দিয়ে নিজেদের স্বার্থ সুনাম হাসিলের প্রয়াসে হাদিস টেনে আনা হলো। যে বিধান রাছুল ওফাতের ৪দিন আগে হলো সেটা তো আপনাদের মান্যবর ওমরের বিধান। কোথায় মানছেন? ওমরের দাপটে যে আইন পাশ হলো আপনারা আবার পিছনের দিকে যাওয়া মানে খলিফা ওমরকে অপমান করা সেটাও বুঝেন না! যদি মানতেন তবে মুসলমানদের মধ্যে এতা বিভেদ থাকতো না। কোরান তো আল্লার অখন্ডবানী কোরান নিয়ে কোন মতভেদ নাই। আমার কথায় কেউ যদি মনে করেন আমি হাদিস বিরোধী ভুল করবেন। আমার কাছে সে হাদিস সঠিক যেটা কোরানের সাথে সাংঘষিক নয়। সেটা যে কোন কিতাবের হতে পারে।
এজন্য অনুরোধ করছি বিবেক কাজে লাগান সময় থাকতে। সফি সাহেব শেষ বয়সে যে কথা গুলি বলছে আমি তার মধ্যে অনুসূচনা দেখতে পাচ্ছি।